সেমি-ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য রবিবার জিততেই হবে দুই দলকে। পরাজয় মানেই বিশ্বকাপ অভিযানে কার্যত দাঁড়ি। তবে ভারতীয় দল অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বহুবার। অবিশ্বাস্যভাবে নক-আউট করেছে বিপক্ষকে। সেই জেদই বড় ভরসা। অনন্ত চাপেই যে জ্বলে ওঠে বিরাট ব্রিগেড! টস ভাগ্য এদিনও সহায় হল না ভারতের।
advertisement
দলে দুটি পরিবর্তন এনে ঈশান এবং রাহুলকে ওপেন করানো হল। ট্রেন্ট বোল্ট প্রথম ওভারে দিলেন মাত্র এক রান। ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ এই পিচেই খেলা হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে সাউদিকে প্রথম বাউন্ডারি মারলেন রাহুল। তৃতীয় ওভারে বোল্টকে বাউন্ডারি মারলেন ঈশান। ওই ওভারেই ঈশানকে তুলে নিলেন অভিজ্ঞ পেসার। মুম্বই ইন্ডিয়ানস দলের সতীর্থ কোথায় মারতে পারেন জানতেন বোল্ট। মিড উইকেটে ক্যাচ দিলেন ঈশান।
প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ফেলে দিলেন মিলনে। চতুর্থ ওভারে স্যান্টনার দিলেন মাত্র দুই রান। পঞ্চম ওভারে অ্যাডাম মিলনেকে একটি বাউন্ডারি এবং ছক্কা মারলেন রোহিত। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাউদির বলে মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন রাহুল (১৮)। পাওয়ার প্লেতে ভারতের রান ছিল ৩৫/২। চার নম্বরে এলেন বিরাট কোহলি।
সপ্তম ওভারে আবার দুই রান দিলেন স্যান্টনার। ইশ সধি প্রথম ওভারেই তুলে নিলেন রোহিতকে। ১৪ করে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন হিটম্যান। দশ ওভারে ভারতের রান ছিল ৪৮/৩। ইশ সধি তুলে নিলেন বিরাটকে (৯)। লং অনে বোল্ট ক্যাচ নিলেন। এখানেই যেন ভারতের আশা অর্ধেকের বেশি শেষ হয়ে গিয়েছিল। দেখার ছিল ঋষভ পন্থ এবং হার্দিক পান্ডিয়া কতটা রান বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
ভারতের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল সাত থেকে পনেরো ওভারের মধ্যে একটিও বাউন্ডারি আসেনি। ফুল টস বলও মাঠের বাইরে পাঠাতে পারছিলেন না জাদেজা, হার্দিকরা।হার্দিক পান্ডিয়া লং ওফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ২৩ করে। উইকেট নিলেন বোল্ট। শার্দুল ঠাকুর ফিরে গেলেন ওই ওভারেই। শাহিন আফ্রিদির মতই ভারতের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিলেন বোল্ট।