#দুবাই: প্রত্যাশিত ভাবেই নিউজিল্যান্ড দলে ডেভন কনওয়ের জায়গায় এলেন টিম সেইফার্ট। সেমিফাইনালে জেতা দল পাল্টাল না অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ। শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। মার্টিন গাপটিল এবং দ্যারিল মিচেল স্কোরবোর্ড চালু রেখেছিলেন। খারাপ বল বাউন্ডারির বাইরে যাচ্ছিল। খেলা শুরুর আগে সুখবর পেয়েছিলেন মিচেল। ভারত সফরে নিউজিল্যান্ড দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
advertisement
কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের বলে দুর্দান্ত ছক্কা মারলেও হাজেলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন (১১)। পাওয়ার প্লেতে একটি উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এরপরেই অ্যাডাম জাম্পাকে আক্রমণে নিয়ে আসে অস্ট্রেলিয়া। হঠাৎ করেই নিউজিল্যান্ডের রান তোলার গতি আটকে গেল। মিচেল মার্শকে পরপর দুটো বাউন্ডারি মেরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেন উইলিয়ামসন। জাম্পার বিরুদ্ধে বড় শট খেলার ঝুঁকি নিচ্ছিল না নিউজিল্যান্ড। দশ ওভারে কিউইদের রান ছিল ৫৭/১।
এর পরেই মিচেল স্টার্ক ফিরে এলেন নিজের দ্বিতীয় স্পেল করতে। কপাল খারাপ তার। মিড উইকেটে উইলিয়ামসনের ক্যাচ ফেলে দিলেন হাজেলউড। কিউই অধিনায়ক তখন ২১ রানে ব্যাট করছিলেন। এই ওভারে ১৯ রান তুলল নিউজিল্যান্ড। অ্যাডাম জাম্পার বলে মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন মার্টিন গাপটিল (২৮)। কিন্তু একাই লড়ছিলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
ম্যাক্সওয়েলের বলে পরপর দুটো ছক্কা মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেললেন ৩২ বলে।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডকে পথ দেখালেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ফিলিপস কিছু আক্রমনাত্মক শট খেললেন।ষোলতম ওভারে মিচেল স্টার্ককে ২২ রান নিলেন উইলিয়ামসন। বুঝিয়ে দিলেন পাওয়ার হিটার না হলেও রান তোলা সম্ভব।
গ্লেন ফিলিপস ফিরে গেলেন ১৮ করে। উইলিয়ামসন ল্যাপ শট পর্যন্ত খেললেন। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডের বলে মারতে গিয়ে লং ওফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইলিয়ামসন (৮৫)।ট্রান্স তাসমানিয়ার ক্রিকেট যুদ্ধে অভিজ্ঞতার বিচারে অস্ট্রেলিয়া সব সময় এগিয়ে। ট্রফি জয়ের ব্যাপারে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তাদের তুলনা চলে না।
এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত নকআউট ম্যাচে মোট ১৬ বারের সাক্ষাতে অস্ট্রেলিয়াকে কখনই হারাতে পারেনি কিউইরা। তার মধ্যে আইসিসি ইভেন্ট ছিল চারটি। আজ সেই একই গল্প লেখা হবে, নাকি প্রথম বার চ্যাম্পিয়নের তকমা জুটবে নিউজিল্যান্ডের ভাগ্যে সময় বলবে।শেষদিকে জিমি নিশাম এবং সেইফার্ট নিলে রান পৌঁছে দিলেন সম্মানজনক জায়গায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট নিলেন হাজেলউড।