প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। কিন্তু স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২১ রান তোলে তারা। বাবর আজম (৩০) ছাড়াও কিছুটা লড়াই করলেন নওয়াজ (২৬)। ফখর জামান, খুশদিল শাহ, ইফতিকাররা সম্পূর্ণ ফ্লপ। লঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত বল করলেন হাসারাঙ্গা। ২১ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিলেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিলেন মধুশান এবং থিক্সানা।
মনে হয়েছিল ভারতকে হারানোর পর ফর্মে থাকা শ্রীলংকা সহজেই হারিয়ে দেবে পাকিস্তানকে। কিন্তু সেটা যে হওয়ার নয় বোঝা গেল শ্রীলংকা ইনিংসের শুরু থেকে। হাসনেইনের বলে খাতা না খুলে ফিরে গেলেন কুশল মেন্ডিস। হ্যারিস রউফ তুলে নিলেন গুনদিলকাকে। তিনিও খাতা খুলতে পারেনি। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল এত কম রান হাতে নিয়েও বোধহয় বাজিমাত করতে পারে পাকিস্তান।
কিন্তু হতে দিলেন না নিঃশঙ্ক। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করলেন এই ওপেনার। ভারতের বিরুদ্ধেও রান পেয়েছিলেন। মাঝখানে কিছুটা রান করে গেলেন ভানুকা রাজপক্ষে (২৪)। অন্যদিকে দায়িত্ব নিলেন লঙ্কার অধিনায়ক শানাকা। ধীরে ধীরে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছে গেল শ্রীলংকা। ম্যাচটা জিতেও নিল।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়ে গেলেন আজকে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই তাদের হারতে হয়েছে। তবে একদিন পরে ফাইনালে এই ভুল যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পাকিস্তান। শ্রীলংকা অনেকের হিসেবে বাইরে থাকলেও তাদের লড়াকু মানসিকতাকে ছোট করে দেখার জায়গা নেই বোঝা গেল আজ।
ফাইনাল তাই লড়াই সমানে সমানে হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে প্রথমে ব্যাট করলেই হার, এই এশিয়া কাপে এমন ট্রেন্ড বজায় রইল। এটা ক্রিকেটিয় দিক থেকে লজ্জার।