তিনি যদি ঠিকঠাকভাবে না ধরতেন তাহলে শাহরুখ খান ও লিভিংস্টোন তাহলে তারা ১৮০ পার করে দিতেই পারত৷ তারপরেই এক স্বপ্নের স্পেলে পুরো পঞ্জাব কিংসের প্ল্যানিংয়ে জল ঢেলে দিল৷ প্রথমে তিনি ওডেন স্মিথকে তুলে নেন৷ এরপর রাহুল চাহার, বৈভব অরোরাকে৷ চাহার ও অরোরার উইকেট পরপর দুবলে নিয়ে নেন৷ একটা বল ছিল এক ওভারের শেষ বল অন্যটি ছিল তাঁর পরের ওভারের প্রথম বল৷ তারপরে তিনি হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়েছিলেন৷ অর্শদীপ সিং তাঁকে কোনওরকমে ঠেকিয়ে দেন৷ এটা করতে পারলে আইপিএলের ইতিহাসে তিনি প্রথম বোলার হতেন যিনি পরপর চারটি উইকেট নিতেন৷
advertisement
ইনিংসের বিরতিতে উমরান আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁরা প্রশ্ন করেছিলেন কড়কড়ে রোদের নিচে এরকমভাবে বল করতে তাঁর অসুবিধা হয় না? মুম্বইতে রবিবার অত্যন্ত গরম ছিল৷ কিন্তু উমরানের বল করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছিল না৷ ওই অবস্থাতেও একই দাপটের সঙ্গে বল করে যাচ্ছিলেন তিনি৷
এর উত্তরে সহজ সরল উত্তর দেন উমরান মালিক তিনি বলেন, ‘‘স্যার আমি জম্মুর বাসিন্দা৷ সেখানে গরমে ৪৬-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়ে যায়৷ আমি সেই তাপমাত্রায় অনুশীলন করতাম৷ আমি গরমে বল করতে উপভোগ করি৷’’
এছাড়াও উমরান মালিক বলেন তিনি সাধারণ জিনিসে নজর রেখেছেন উইকেট টু উইকেট বল করবেন৷ তবে তাঁর গতিই তাঁর বলকে আলাদা মাত্রা দেয়৷ উদাহরণ হিসেবে জিতেশ শর্মা চেষ্টা করেন উমরানের থেকে শর্ট বল আদায় করতে৷ তিনি লেট হয়ে যান এবং নিজের উইকেট খুইয়ে বসেন৷