ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক তিনি। স্রেফ ডাকনামে নন, তিনি আদতেই মহারাজ। তাই তিনি মহারাজকীয় প্রস্থান আশা করেছিলেন হয়তো। যেভাবে সৌরভ আউট হলেন তা মেনে নেওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ল।
advertisement
১১ অক্টোবর বোর্ডের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সৌরভ আর নিজের অনুভূতি লুকিয়ে রাখতে পারেননি। উপস্থিত মিডিয়া পার্সনদের দাবি ছিল, চোখ-মুখ লাল করে মিটিং শেষে বেরোন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা। নিজের মনে অবস্থা লুকনোর কোনও চেষ্টা তিনি করেননি।
নিয়ম অনুযায়ী, বিদায়ী বোর্ড সভাপতি নতুন প্রেসিডেন্ট-এর নাম প্রস্তাব করেন। কিন্ত এদিন বিরক্ত সৌরভ একবারও রজার বিনির নাম প্রস্তাব করেননি বলেই সূত্রের খবর।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয়েশ জর্জ ছাড়া বাকি সবাই দ্বিতীয়বার বোর্ড সভাপতির পদে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তাঁকে যে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না, সেটা সৌরভ আগেই বুঝেছিলেন বলে ওয়াকিবহাল মহল জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে সৌরভের সব থেকে বেশি সমালোচনা করেছিলেন, বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে বিসিসিআই টিমের মেন্টর এন শ্রীনিবাসন। তিনি দাবি করেন, সভাপতি হিসেবে সৌরভ এমন কিছু ব্র্যান্ডকে প্রোমোট করেছিলেন যেগুলি বিসিসিআই-এর অফিসিয়াল ব্র্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী। এমনকী সভাপতি সৌরভ প্রতাশ্য পূরণে ব্যর্থ বলেও নাকি তিনি অভিযোগ করেন।
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন এমনও দাবি উঠে আসছে, সৌরভকে আইপিএল চেয়ারম্যান পদে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে মহারাজ সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।