ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএলের মঞ্চ কাজে লাগিয়ে ফিরে আসেন জাতীয় দলে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সুযোগের সদ্ব্যবহারেও ভুল হল না রাহানের। দেশের জার্সিতে দীর্ঘ ১৮ মাস পর খেলতে নেমে উপহার দেন ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। চাপের মুখে তাঁর নাছোড়বান্দা লড়াইয়ে মুগ্ধ সৌরভ গাঙ্গুলি।
প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন সহজ ব্যাপার নয়। কঠিন পরিস্থিতিতে যেভাবে দলকে টানল, তা অসাধারণ। এর থেকেই ওর দৃঢ় মানসিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন প্রত্যাবর্তনে রাহানে নিশ্চয়ই গর্ব অনুভব করছে। ও দেখিয়ে দিল, কঠিন পিচে কীভাবে ব্যাট করতে হয়। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে শার্দূল ঠাকুরেরও।
advertisement
পঞ্চম উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন রাহানে। তারপর সপ্তম উইকেটে শার্দূলকে পাশে নিয়ে যোগ করেন ১০৯। এই জুটিতে কিছুটা মানরক্ষা হয় টিম ইন্ডিয়ার। স্টার্কদের বলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন রাহানে। দিনের শেষে তিনি বলেন, কঠিন সময়ে দলকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। শনিবার সকালের সেশনটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
বোলারদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। টেস্টে যে কোনও মুহূর্তে রং বদলে যেতে পারে। তাই আশা ছাড়ছি না। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই সফরেও একটি অর্ধশতরান করেছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিক ছন্দের অভাব এবং দ্রুত শ্রেয়স আয়ারের উঠে আসা রাহানের ভবিষ্যৎ প্রায় ঠিকই করে দিয়েছিল। বাদ হয়ে যান বোর্ডের চুক্তির আওতা থেকে।ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে বাদ পড়েন তিনি এবং পুজারা।
তার পরেই শুরু হয় রাহানের ফেরার লড়াই। মুম্বইয়ের এই ব্যাটার বুঝেই গিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে গেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলতেই হবে। যেমন ইচ্ছে তেমন কাজ। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে নিংড়ে দিলেন নিজেকে। লাল বলের ক্রিকেটে একের পর এক বড় ইনিংস তাঁকে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিল। মুম্বই রঞ্জি জিততে পারেনি। কিন্তু রাহানের পকেটে থাকা ছ’শোর বেশি রান জাতীয় নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখল।