ডান হাত জানতে পারে না বা হাতে কতটা দান ধ্যান করেন। ক্রিকেট এবং ক্যানসার হাসপাতাল—এই দুটি কথা একসঙ্গে উচ্চারিত হলেই যাঁর নাম প্রথমেই মনে হয়, সেই ইমরান খান এখানেও প্রেরণা। সাকিব তাঁর বক্তব্যে ক্যানসার নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করার অঙ্গীকার করলেন। তাঁর স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির তাঁকে এ ব্যাপারে কতটা অনুপ্রাণিত করেছেন, জানালেন সে কথাও।
advertisement
শিশিরের একটা ভিডিও-ও দেখানো হল অনুষ্ঠানে। যেটিতে গত দু বছরের মধ্যে ক্যানসারে মা–বাবা দুজনকেই হারানোর বেদনার কথা বললেন তিনি। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বড় কিছুই করতে চান সাকিব, আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যানসার হাসপাতাল করা। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল সুযোগ থাকবে। একদমই কম খরচে মানুষ যে হাসপাতালে এসে হাসিমুখে বাড়ি ফিরবে।
গর্ব করে বলবে, বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল আছে। হাসপাতাল যখন হওয়ার হবে। আপাতত ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজটা শুরু করে দিতে চায় এই ফাউন্ডেশন। কাফি খান জানালেন একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার করার চিন্তার কথাও। যেখানে গরিব রোগীরা একটু কম পয়সায় ক্যানসারের ব্যয়বহুল পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে পারবেন।
অথবা এমনও হতে পারে, খরচের একটা অংশের জোগান দেবে এই ফাউন্ডেশন। ২০১৭ থেকে ২০২৩—প্রায় ছয় বছর পর সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে আলোর মুখ দেখেছে, তবে এর প্রস্তুতি চলছিল এতগুলো বছর ধরেই। সাকিব জানেন যখন বাংলাদেশ থেকে তার ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছিল সেই তুলনায় দেশ এখন কতটা এগিয়েছে। তবে এখনও এগোতে হবে তাদের।
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় দিনের শেষে শুধু ক্রিকেটার নয়, সে দেশের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছেন এর থেকে বড় বিজ্ঞাপন কিছু হতে পারে না। এই মহৎ কাজে তার হাজার কলঙ্ক দূর হয়ে যাওয়ার মতো।