আরও পড়ুন - পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরিয়ে দিলেন জয় শাহ, ভারত যাবে না বাবরদের দেশে
মঙ্গলবার বিসিসিআইয়ের ৯১ তম বার্ষিক সাধারণ সভার পর বোর্ডের সচিব জানান যে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না টিম ইন্ডিয়া। পরিবর্তে নিরপেক্ষ কোনও জায়গায় এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সভাপতি হলেন জয় শাহ।
advertisement
সেই বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কার্যত যুদ্ধ শুরু হলেও এখন রোহিত শর্মা, বাবর আজমদের মধ্যে সম্পর্ক দেখার মতো। দিনকয়েক আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কদের সাংবাদিক বৈঠকে রোহিতকে ‘বড়’ ভাই হিসেবে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত বলেছিলেন, আমাদের যখন দেখা যায়, তখন পরিবারের বিষয়ে কথা হয়।
এশিয়া কাপে যেমন দেখা হয়েছিল, এখন দেখা হল। আমাদের যখন দেখা হয়, তখন আমরা নিজেদের পরিবার নিয়ে কথা বলি। মঙ্গলবার টুইটারে আফ্রিদি বলেন, গত ১২ মাসে যেখানে দুই দলের মধ্যে দুর্দান্ত বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে এবং দুই দেশে ভালো আবহ গড়ে উঠেছে, সেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচের ঠিক আগে বিসিসিআই সচিব কেন এরকম মন্তব্য করলেন?
এই ঘটনার মাধ্যমে ভারতের ক্রিকেট প্রশাসনে অনভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। বিসিসিআইয়ের সচিবের মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও। এমনকী সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় দল যদি পাকিস্তানে না যায়, তাহলে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা।
শাহিদ আফ্রিদি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন জয় শাহের বোর্ড চালানোর মতো পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই। ইচ্ছে শক্তির প্রবল অভাব। দেখে মনে হয় না ভারত এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক উন্নতি করতে তিনি ইচ্ছুক নন। তবে অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ২০২৪ সালে ভারতে লোক সভা নির্বাচন আছে। সেটাও এর পেছনে পরোক্ষ কারণ হয়ে থাকতে পারে।