মেলবোর্নে গত বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে হাঁটুর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদিকে আর খেলতে দেখা যায়নি। পিঠের চোটের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া বুমরাও ভারতের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন প্রায় পাঁচ মাস আগে। ফেব্রুয়ারিতে পিএসএল দিয়ে ফেরার কথা আফ্রিদির। আর পুরোপুরি সেরে উঠলে বুমরা খেলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন বর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে।
advertisement
বয়সের ব্যবধান ৭ বছর হওয়ায় আফ্রিদি–বুমরাকে সে অর্থে সমসাময়িক ভাবা হয় না। বাঁহাতি আফ্রিদির বয়স ২২ আর ডানহাতি বুমরার ২৯। তা ছাড়া দুজন খুব একটা মুখোমুখিও হন না। তবে আবদুল রাজ্জাক দুজনের তুলনা করতে গিয়ে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিবৃতিই দিয়েছেন। বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা এ অলরাউন্ডার স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, শাহিন আফ্রিদি যশপ্রীত বুমরার চেয়ে অনেক ভাল।
বুমরাহ আফ্রিদির ধারেকাছের মানেরও নয়। বুমরাকে নিয়ে রাজ্জাকের এ ধরনের মন্তব্য এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে ভারতীয় তারকাকে ‘শিশু বোলার’ সম্বোধন করে বলেছিলেন, আমি গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আকরামের মতো গ্রেটদের বল খেলে এসেছি। এখনো খেলা চালিয়ে গেলে সহজেই আধিপত্য বিস্তার করতাম এবং ওর বলে আক্রমণ করতাম।
রাজ্জাক পাকিস্তানি হওয়ায় স্বদেশি খেলোয়াড়ের পক্ষে সাফাই গাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা আফ্রিদি পাকিস্তানের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলেছেন ১০৪ ম্যাচ। ২৩.৯২ গড় ও ৪.১৮ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ২১৯ উইকেট।
ভারতের জাতীয় দলে বুমরার অভিষেক হয়েছে আরও আগে, ২০১৬ সালে। আফ্রিদির চেয়ে ম্যাচ খেলা ও উইকেট শিকারেও এগিয়ে তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৬২ ম্যাচে ৩১৯ উইকেট নিয়েছেন ‘ইয়র্কার–বিশেষজ্ঞ’ বুমরা।