নিখুঁত হোমওয়ার্ক এবং প্লানিং করে নেমেছিলেন মারিও। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তার ভরসা ছিল ডিফেন্স শক্ত রেখে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল। ব্রাজিলিয়ান মার্সেলো এবং হানামতে গোল করে দিলে ম্যাচের ভাগ্য অন্যরকম হতেই পারত। কলকাতা ডার্বিতে ফের হেরেছে SC East Bengal। তালিকার শেষের দিকেই ছিল লাল হলুদ ব্রিগেড।
advertisement
আরও পড়ুন - Australian Open 2022: ৪৪ বছর পর অজি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব অ্যাশলে বার্টির
তবে শনিবার প্রথমার্ধে তাক লাগানো পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছে ওই দল। এতে খুশি কোচ মারিও। ডার্বিতে পরাজয়ের পর কোচ বলেন, এরকম একটি ম্যাচ না জিতলে তো হতাশ হতেই হবে। তবে দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। প্রচুর লড়াই করেছে ওরা। ম্যাচটা আমরা জিততেও পারতাম। যেরকম চেয়েছিলাম, সেরকমই খেলেছে ওরা। শুরুতেই অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় চোট পাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। ডিফেন্সে আমাদের পরিবর্তন করার আর কোনও উপায় ছিল না। তবু অমরজিৎ চেষ্টা করেছে।
অবশ্যই আমরা এই ফলটাই ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, ওরা এত দ্রুত গোল করে দিল যে আমরা ঠিকমতো দলে পরিবর্তন এনে সেই অবস্থাটা সামলাতে পারলাম না। ওরা (ATK Mohun Bagan) যদি আর একটু দেরিতে প্রথম গোলটা করত, তা হলে হয়ত সামাল দেওয়া যেত। ইস্টবেঙ্গলের এক প্রাক্তন কিংবদন্তীর পুত্রই হারের কারণ হয়ে উঠেছে, এটা সমর্থকদের কাছে কতটা অস্বস্তিকর?
প্রশ্নের উত্তরে লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলেন, সমর্থকদের একটাই কথা বলব। দলের খেলোয়াড়দের জন্য আমাদের গর্ব করা উচিত। ওরা আজ অসাধারণ খেলেছে। বিশেষ করে রক্ষণের ক্ষেত্রে ওরা যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, সে জন্য ওদের অভিনন্দন জানানো উচিত। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি ম্যাচটা কিছুটা ওপেন হয়ে যায়। ওই সময়ে আমরা ফের ব্যবধান তৈরির সুযোগ পেয়েছিলাম। এই রকম পরিস্থিতে গোল খাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। সেটা আমরা আটকাতে পারিনি বলেই ম্যাচটা হারতে হল।
তাঁর সংযোজন, আমাদের খেলোয়াড়দের মানসিকতা দৃঢ়। পারফরম্যান্স লড়াকু। যে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে চেয়েছিলাম, সেরকমই খেলেছে ওরা। কিন্তু, আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, শুরুতেই একজন চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। গর্ব করার মতো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ওরা। এই রকম পারফরম্যান্সের পর এবার পরবর্তী ম্যাচে আমরা জেতার জন্যই নামব। বুধবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই লাল-হলুদের।