হারারেতে খেলা এক টেস্ট ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকর ও মহম্মদ আজহারউদ্দিন-এর মতো কিংবদন্তিরা ব্যর্থ হয়েছিলেন, সেখানে মাঞ্জরেকর একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি প্রায় ৯ ঘণ্টা ব্যাট করে সেঞ্চুরি করেন। ম্যাচটি ড্র করান।
ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঞ্জরেকরের দাপট ছিল অসাধারণ। যতটা সফল তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন, ততটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফলতা পাননি। সঞ্জয় মাঞ্জরেকর ২০১৮ সালে তাঁর আত্মজীবনী ‘ইমপারফেক্ট’ প্রকাশ করেন। ওই বইতে তিনি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন। তিনি জানান, “যখন আমি অবসর নিই, তখন ফর্মে ছিলাম না, এই কথাটা মোটেও সত্যি নয়।”
advertisement
তিনি আরও লেখেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়-এর খেলা দেখে সেই সময় বুঝতে পারি, আমার সময় শেষ হয়ে গেছে।” এই উপলব্ধির পর মাত্র ৩২ বছর বয়সেই তিনি অবসরের ঘোষণা করেন। সঞ্জয় মাঞ্জরেকর বর্তমানে একজন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আইপিএল-এ প্রতি সিজনে কোটি টাকার বেশি পারিশ্রমিক পান ধারাভাষ্যের জন্য।
আরও পড়ুন- ‘Grow some f****** balls’ শান্ত গিল হারালেন মেজাজ! ইংল্যান্ড ওপেনারকে যা বললেন…
সঞ্জয় মাঞ্জরেকর তাঁর বইতে লিখেছিলেন, ১৯৯৬ সালের ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। মাঞ্জরেকর বলেন, সেই সফরে দ্রাবিড়ের বদলে সৌরভ নিজেকে তুলে ধরেন। দ্রাবিড়ের প্রশংসা করে সঞ্জয় লেখেন, “ওকে খেলতে দেখে মনে হচ্ছিল, যেন ও ভারতীয় দলের জন্যই তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও লেখেন, “যখন আমি দ্রাবিড়কে ব্যাট করতে দেখলাম, তখনই মনে হল, আমার সময় শেষ। এখন ওদের সময়।”
সচিন তেন্ডুলকর একবার তাঁকে ‘Mr. Different’ বলেছিলেন। কারণ তিনি ছিলেন অন্যদের থেকে আলাদা। মাঞ্জরেকর ছিলেন ধীর-স্থির। তিনি ছিলেন টেকনিক্যালভাবে নিখুঁত। মাঞ্জরেকর ১১১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। একটা সময় তাঁর তুলনা সুনীল গাভাসকরের সঙ্গেও করা হত। টেস্ট ক্রিকেটে ৩৭টি ম্যাচে ২০৪৩ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরি চারটি, হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। সেরা স্কোর ২১৮ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৯৪ রান করেন। সেঞ্চুরি একটি। হাফ সেঞ্চুরি ১৫টি। ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেট ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১০,২৫২ রান করেন। ৩১টি সেঞ্চুরি করেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি ৪৬টি।