‘অ্যাম্বিডেক্সট্রাস’ শব্দের অর্থ হল যিনি ডান ও বাঁ হাতে সমান দক্ষ ৷ বাংলায়, সব্যসাচী ৷ দু’ হাতে সমান ভাবে তির নিক্ষেপ করতে পারতেন বলে কৌন্তেয় অর্জুনের আর এক নামও সব্যসাচী ৷ তেন্ডুলকরের ভক্তরা ভালই জানেন তাঁর দু’ হাত সম দক্ষতায় কাজ করে ৷ তিনি ক্রিকেটে বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং করতেন ডান হাতে ৷ ক্রিকেট মাঠ ছাড়া খাওয়া, লেখা-সহ সব কাজ বাঁ হাতে ৷
advertisement
তবে ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গেল সচিন গল্ফকোর্সে বলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পাঠালেন বাঁ হাতের মোচড়েই ৷ অর্থাৎ এখানে তিনি ক্রিকেটের মতো ডান হাত ব্যবহার করলেন না ৷ তাঁর এই খেলার সাক্ষী ছিলেন যুবরাজ সিং ৷ প্রসঙ্গত তিনিও একজন বাঁ হাতি ৷ খেলার আগে সচিনকে যুবরাজ বলেন, ‘মাস্টার ব্লাস্টারের মতোই খেলতে হবে ৷’ এবং তার পর দেখা যায় সচিন সত্যি নিখুঁতভাবে গল্ফের বলকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পাঠালেন ৷
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর সচিন সামাজিক মাধ্যমে এখন খুবই সক্রিয় ৷ বিভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি পোস্ট করেন ৷ কিছুদিন আগেই মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে সচিন দেখা করেন টোকিয়ো অলিম্পিকে রুপোজয়ী মীরবাঈ চানুর সঙ্গে ৷ তাঁদের দু’জনের ছবির সঙ্গে সচিন লেখেন, ‘‘সইখোম মীরাবাঈ চানু ভারোত্তোলনের মতো জীবনীশক্তিকেও খুব সহজে তুলে ধরতে পারেন ৷ আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ ৷’’ আরও যোগ করেন, আপনার মতো চ্যাম্পিয়নের যাত্রা আরও অনেক বিজয়ীকে উদ্বুদ্ধ করে ৷ আপনি আপনার জীবনে ও কেরিয়ারে আরও অনেক উচ্চতায় উঠতে থাকুন ৷
টোকিয়ো অলিম্পিক চলাকালীন মীরাবাঈ চানু ছাড়াও বাকি পদকজয়ী অর্থাৎ নীরজ চোপড়া, বজরঙ্গ পুনিয়া, রবিকুমার দাহিয়া, লভলিনা বড়গোহাইন, পি ভি সিন্ধু ও ভারতীয় পুরুষ হকি দলের কৃতিত্বকে সামাজিক মাধ্যমে কুর্নিশ জানান সচিন ৷ বাহবা জানিয়েছেন মহিলা হকি দলের অভূতপূর্ব কৃতিত্বকেও ৷ টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মনিকা বাত্রাকেও তাঁর লড়াইয়ের জন্য অভিনন্দিত করেছেন সচিন ৷