জিদান ছাড়ার পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দলটির ভোল বদলে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই লা লিগা ঘরে তুলেছে রিয়াল। তারচেয়েও বড় কথা, করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, লুকা মডরিচদের মধ্যে ফিরিয়েছেন হারানো আত্মবিশ্বাস। সীমিত সামর্থ্য নিয়েও আনসেলোত্তি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে অবিচল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বে পিএসজি, চেলসি এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মতো দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। এছাড়া পেডিগ্রির নিরিখেও মাদ্রিদের ক্লাবটি পিছনে ফেলবে লিভারপুলকে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৩ বার ইউরোপ সেরা হয়েছে রিয়াল। পক্ষান্তরে, অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি সেই সম্মান পেয়েছে ছ’বার।
advertisement
শনিবার লিভারপুলের বিরুদ্ধে দুরন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে না রিয়াল। বরং প্রতিপক্ষের ভুলের অপেক্ষায় থাকবে। কার্ভাহাল-মেন্ডিদের ভুলভ্রান্তি ঢাকার জন্য বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কাসেমিরো-ক্রুজদের। আর ভার্জিল ফন ডিক-রবার্টসনদের বিপদে ফেলার জন্য ভালভার্দে-বেনজেমা-ভিনিসিয়াস ত্রিভুজের উপরেই আস্থা রাখছেন আনসেলোত্তি।
অভিজ্ঞ ইতালিয়ান কোচের যাবতীয় ছক উল্টে দেওয়ার জন্য লিভারপুল সারথি জুরগেন ক্লপের হাতিয়ার ‘গেগেনপ্রেসিং ফুটবল’। জার্মানিতে এই সিস্টেম ‘কাউন্টার প্রেসিং’ নামে পরিচিত। বলের দখল হারালেই তা দ্রুত ছিনিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য থাকবে লিভারপুলের। আর এই ব্যাপারে ক্লপের দলের নিউক্লিয়াস হলেন হেন্ডারসন, ফাবিনহো ও থিয়াগো।
আপফ্রন্টে মো সালাহ ও সাদিও মানে ছন্দে থাকলে রিয়ালের উপর চাপ বাড়বে। তবে এটাও ঠিক, ভার্জিল ফন ডিকের নেতৃত্বে লিভারপুল রক্ষণকে সামলাতে হবে বেনজেমাদের। দু’টি দলেরই রক্ষণে গলদ রয়েছে। তাই ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়াতেই পারে।
একদিক থেকে দেখতে গেলে এই ম্যাচটা লিভারপুলের কাছে প্রতিশোধের। কয়েক বছর আগে ফাইনালে এই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল তাদের। আজ চাকা ঘোরানোর পালা ইংল্যান্ডের ক্লাবটির।