ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে তার বিদায়টা যে খুব একটা মধুর ছিল, এমন নয়। তাই এখন দায়িত্ব ছাড়ার পর খুলে ব্যাটিং করছেন। সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি যখন শুনেছিলেন রবি শাস্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন যে, কুলদীপ যাদব ভারতের এক নম্বর স্পিনার হতে চলেছেন, তখন তাঁর মনে হচ্ছিল, কেউ তাঁকে বাসের তলায় চাপা দিয়ে দিচ্ছে।
advertisement
এই নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, আমি কোনও প্লেয়ারকে তোয়াজ করতে পারব না। সিডনিতে সেই টেস্টে কুলদীপ দুর্দান্ত বল করেছিল। ওর মতো একজন তরুণ ক্রিকেটার যদি ভাল খেলে, সেটা বলব না? আর অশ্বিনের মন্তব্য নিয়ে বলতে পারি, আমার কথায় যদি দুঃখ পেয়ে থাকে তা হলে খুব ভাল হয়েছে। কারণ আমি এমন একজন কোচ, যে সব সময় চায় ক্রিকেটাররা রেগে গিয়ে বলুক, এই কোচের মুখের উপর জবাব দেব। অশ্বিন সেটাই করেছে।
২০১৯ সালের অশ্বিন আর ২০২১ সালের অশ্বিনের মধ্যে তো আকাশ-পাতাল তফাৎ। ও নিজেই দেখুক কতটা উন্নতি করেছে। বাসের তলায় চাপা পড়ার ভয় না পেলেও চলত। আমি ড্রাইভারকে তিন ফুট আগে বাস থামিয়ে দিতে বলেছিলাম। আমি চাইতাম দলের প্রত্যেকটা জায়গার জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাক। একে অপরকে চাপে রাখুক ক্রিকেটাররা। তবে সুস্থ প্রতিযোগিতা চাইতাম।
এটাই আমাদের বিশ্বের সেরা টেস্ট দল হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। এই মানসিকতার জন্যই আমরা বিদেশের মাঠে সাফল্য পেয়েছিলাম। অশ্বিনের পাউরুটিতে মাখন লাগানো আমার কাজ নয় (My job is not to butter everyones toast)। আমার কাজ সঠিক লক্ষ্যে দলকে তৈরি করা। যতদিন দায়িত্বে ছিলাম সেই চেষ্টা করেছি।
তবে রবি শাস্ত্রী ভারতকে বিদেশের মাঠে সাফল্য দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু আবার এটাও ঠিক দীর্ঘদিন সময় পেয়ে একটিও আইসিসি ট্রফি জয় করতে পারেননি তিনি। আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর সঙ্গে তার ঠান্ডা লড়াই অজানা নয় ক্রিকেট পরিসরে। কিন্তু এমন মন্তব্য করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর গালাগালি খাচ্ছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।