ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্য়ারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ব্য়স্ত থাকার সময় সন্দীপ লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ ছিল, নেপালের কাঠমান্ডুর কাছে একটি এলাকায় ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন সন্দীপ লামিছানে। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে।
advertisement
পুলিশ সূত্রের খবর, ২২ অগস্ট নেপাল ক্রিকেট দলের কেনিয়া সফরের আগে লামিছানে ওই কিশোরীকে ভক্তপুরে ঘুরতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিশোরী রাজি হন। রাতে ওই কিশোরী মধ্য বানেশ্বরে নিজের হোস্টেলে ফিরে যেতে চাইলেও লামিছানে বাধা দেন। হোস্টেল আটটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেলে লামিছানের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য হন ওই কিশোরী। প্রথমে তিনি আলাদা ঘরে থাকতে চান। সেটাও হতে দেননি লামিছানে। তার বদলে নিজের ঘরে ডেকে এনে ওই কিশোরীকে দু’বার ধর্ষণ করেন।
লামিছানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর সোশ্য়াল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, 'আমি কোনও দোষ করিনি। নেপালের আইনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আপাতত আমি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ উঠেছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি দেশে ফিরে যাব। আশা করি সঠিকভাবে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে। কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ যেন না হয়।'
দেশে ফিরে সন্দীপ লামিছানে গ্রেফতার করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতিমধ্য়েই নেপালের ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করেছে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড। এবার ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। তারপর তাকে ফের আদালতে তোলা হবে।