তার এই নির্ভীক মনোভাবের জন্যই জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারেন ত্রিপাঠী। এই মরশুমে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের মিডল অর্ডারে ধারাবাহিক ভাল খেলছেন তিনি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সর বিরুদ্ধে ডু ওর ডাই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুর্দান্ত ম্যাচ জয়ী ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের প্রশংসার ঝর বয়ে গেছে।
advertisement
শুরুতেই ওপেনার অভিষেক শর্মার উইকেট পড়ে যাওয়ায় ব্যাট করতে নামেন রাহুল ত্রিপাঠী। নেমেই মুম্বইয়ের বোলারদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিলেন। পাওয়ার প্লে ওভারে বুমরাহের বলে ব্যাট চালাতেও এক ফোঁটা পিছপা হননি তিনি। ৩টে ছয় এবং ৯টা বাউন্ডারি মেরে অসাধারণ ৪৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন।
তার কৃতিত্বেই সানরাইজার্স ১৭৩ রান করে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এই টার্গেটে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। সানরাইজ হায়দ্রাবাদে রাহুল ত্রিপাঠী একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ওপেনাররা ব্যর্থ হলেও ত্রিপাঠি সেই দায়িত্ব পালন করেন। শেষবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৩৯৭ রান করেছিলেন, ১৪০ এর ওপর স্ট্রাইক রেট রেখে।
২০২২ এর আইপিএলেও তার দুধর্ষ পারফরম্যান্স। ১৩ ম্যাচেই ৩৯৩ করে নিয়েছেন, রান রেট ১৬০ এর বেশি। রবি শাস্ত্রী বলছেন জাতীয় দলের বেঞ্চে জায়গা খালি হলে অথবা কেউ চোট পেলে রাহুল ত্রিপাঠীকে ডেকে নেওয়া উচিত। ৩ অথবা ৪ নম্বর পজিশনে তাকে খেলাতে হবে এবং মিশ্র কম্বিনেশনে তাকে খেলাতে হবে।
রাহুল ত্রিপাঠী যদি প্রতিটা মরশুমে এরকম পারফরম্যান্স করেন তাহলে জাতীয় দলের নির্বাচকদের চোখে পড়ে যাবেন সহজেই। শাস্ত্রী বললেন, শুরুটা ভাল করার পর সেখান থেকে খেলা তৈরি করতে হয়। রাহুল ত্রিপাঠী ভয় পান না, বিভিন্ন ধরনের শট খেলেন, বেশ কিছু বড় শটও খেলতে জানেন। এই ছেলেটা মাথায় কোনো চাপ নিয়ে খেলতে নামে না।