এখানে চাপ এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। কিন্তু সব জেনেশুনেই লাল হলুদে এসেছেন গিল। ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে প্রভসুখনের অভিষেকের সময় তাঁকে কাছ থেকে দেখেছিলেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। বর্তমানে তিনি ইস্টবেঙ্গলের কোচ। তাই তরুণ গোলকিপারকে দলে নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন স্প্যানিশ কোচ। ২০১৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
advertisement
লাল হলুদে যোগ দেওয়ার পর স্মৃতির সরণি বেয়ে অতীতে পৌঁছে যান পাঞ্জাবের গোলকিপার। প্রভসুখন বলেন,২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে সিনিয়র দলে অভিষেক হয়েছিল। সেদিনই ভেবেছিলাম যদি আমি কোনওদিন ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুযোগ পাই। স্বপ্ন সত্যি হল। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলতে পারব ভেবেই গর্বিত।
আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। মাঠে নেমে প্রত্যেক ম্যাচেই আমি নিজের সেরাটা দেব। ফ্যানদের জন্য খেলাই মোটিভেশন। আইএসএলে ২০২১-২২ মরশুমে গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছিলেন প্রভসুখন। এবার লাল হলুদ জার্সিতে সেরাটা দিতে তৈরি। গিল নিশ্চিত ইস্টবেঙ্গল এবার অনেক শক্তিশালী দল আগের তুলনায়। প্রত্যেকটা বিভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ফুটবলার আছে।
আর বেশিরভাগ ফুটবলার এবার আইএসএল খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তাই অসুবিধা হবে না। গিল জানেন ইস্টবেঙ্গল জনতা গত তিন বছর ধরে দুঃখের মধ্যে আছে। তাই দলের শেষ প্রহরী হিসেবে যত বেশি সম্ভব ম্যাচে ক্লিন শিট রাখতে চান তিনি। কলকাতা ডার্বি নিয়ে মন্তব্য না করলেও তিনি জানেন এটাই মহানায়ক হয়ে ওঠার ম্যাচ।