নিঃসন্দেহে পর্তুগাল গোল খাওয়ার পর আক্রমণের সুনামি তুলেছিল। কিন্তু আসল কাজটা করতে পারিনি। ম্যাচ শেষে রাগে ফেটে পড়েছেন পর্তুগালের সবচেয়ে সিনিয়র তারকা পেপে। ডিফেন্সের কান্ডারী পেপে মনে করেন পর্তুগালের ম্যাচে আর্জেন্টিনার রেফারি দেওয়ার মানে হয় না।
আরও পড়ুন - England vs France: জিরুতেই জয়, ভিলেন কেন! বিশ্বকাপে ফ্রান্সের অনবদ্য জয়ের রহস্য কী জানেন!
advertisement
বিশেষ করে আর্জেন্টিনা যখন টুর্নামেন্টে টিকে আছে, তখন সেই দেশের রেফারি দেওয়া মানে পর্তুগালের বিপক্ষ দলকে অন্যায়ের সুবিধা দেওয়া হবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেটাই হয়েছে বলছেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। ব্রুনো ফার্নান্ডেজ জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন রেফারি ফাকুণ্ড তেলো দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগালকে ন্যায্য ফাউল দেননি, একাধিক ক্ষেত্রে।
তিনি মরক্কোর পক্ষে সিদ্ধান্ত দিচ্ছিলেন। পেপে এবং ব্রুনো দুজনেই মনে করেন পর্তুগালের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার রেফারি অন্যায় করেছেন। মেসির আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করতে নোংরা খেলা চলতে পারে এমন মনে করছেন দুজনেই। শেষটা আরও সুন্দর হতে পারত। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মুখে থাকতে পারতো ভুবনবিজয়ী হাসি।
সেই রোনালদো বিদায় নিলেন একরাশ হতাশা নিয়ে, চোখ মুছতে মুছতে। রোনালদোর কান্নার মধ্যেও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশটা ঢেকে গেলো না। সবার আগে মাঠ ছেড়ে চলে গেলেন ড্রেসিংরুমে। সতীর্থদের সঙ্গে দাঁড়ালেন না এক মুহূর্ত। দেশের হয়ে খেলেছেন সবচেয়ে বেশি, ১৯৬টি ম্যাচ। এখনও পর্যন্ত গোল করেছেন ১১৮টি। লুইস ফিগোদের সোনালি প্রজন্ম যেটা পারেননি পর্তুগালকে সেটা উপহার দিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে জিতিয়েছেন ইউরোর মুকুট। ২০০৪ সালেও ইউরোর ফাইনাল খেলেছিলো পর্তুগাল। এই রোনালদো নিজের শেষ বিশ্বকাপে দলের মধ্যমণি থাকবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন সবাই। কিন্তু কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তেমনটা ভাবেননি। আর সেই সাহস থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষেও একই কাজ করেন পর্তুগাল কোচ। রোনালদোকে রাখেন সাইডবেঞ্চে। এবার আর ফাটকা কাজে লাগেনি।
