তবে ১৩৭ রানের রসদ নিয়ে যে লড়াইটা করে দেখালেন পাকিস্তানের বোলাররা তা এক কথায় অনবদ্য। ম্যাচের মোক্ষম সময়ে শাহিন আফ্রিদি চোট পেয়ে মাঠ না ছাড়লে হয়তো ম্যাচের রং অন্যরকম হতে পারত। ম্যাচের প্রথম থেকেই বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন শাহিন আফ্রিদি। প্রথম ওভারেই নতুন বলে ইন সুইংযে বোল্ড করে অ্যালেক্স হেলসকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়েছিলেন বাঁ হাতি তারকা পেসার। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৩ রান।
advertisement
রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৪৫ রানে৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। ৩৯ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ইংল্যান্ডের ৮৪ রানের মাথায় শাদাব খানের বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন ব্রুক। দৌড়ে এসে স্লাইড করে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন শাহিন আফ্রিদি। ক্যাচ ধরে দলকে লড়াইয়ে ফেরালেও ফের হাঁটুতেই চোট পান শাহিন।
যদিও তখও যে তিনি বোলিং করতে পারবেন না বুঝতে পারেননি। ম্যাচে ১৬তম ওভারে বল করতে এসে একটি বল কোনও রকমে করলেও দৌড়তেও পারছিলেন না শাহিন আফ্রিদি। ফলে এক বল করেই চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন পাক পেসার। সেই সময় ম্যাচে ইংল্যান্ডের উপর চাপ বজয় রেখেছিল পাকিস্তান। শাহিনের অসমাপ্ত ওভার করার জন্য পার্ট টাইম অফ স্পিনার ইফতিকর আহমেদকে বল দেন বাবর আজম। সেই ওভারে একটি ছয় ও একটি চার মেরে খেলা রং পাল্টে দেন বেন স্টোকস। তারপরই আর ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ পায়নি পাকিস্তান।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ জিতলেই লিপ্ত হবেন উদ্দাম সঙ্গমে, তারকা ফুটবলারকে অফার সুপার হট মডেলের
প্রসঙ্গত, ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন শান মাসুদ ও ৩২ রান করেন বাবর আজম। রান তাড়া করতে নেমে ১ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ইংল্যান্ড। ৫২ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলে ২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপের পর ২০২২ সালে দেশকে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতালেন বেন স্টোকস।