#দুবাই: ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলাটা শুরু করেছিলেন, রান তাড়া করতে নেমে সেভাবে শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। বাবর আজম (১৪) এদিনও ব্যর্থ। রবি বিষ্ণোই ফিরিয়ে দিলেন তাকে। পাওয়ার প্লে তে পাকিস্তানের রান ছিল ৪৪-১। পাকিস্তানের মারকুটে ব্যাটসম্যান ফখর জামান (১৫) বেশি কিছু করতে পারলেন না। চাহালের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়লেন।
advertisement
১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৭৬/১। কিন্তু ৪ নম্বরে প্রমোশন দিয়ে নওয়াজকে পাঠিয়ে চমক দিয়েছিল তারা। তিনি একটি কার্যকরী ইনিংস উপহার দিলেন। অন্যদিকে হাঁটুর চোট নিয়েও লড়াকু অর্ধশতরান করলেন রিজওয়ান। ভারতের বিরুদ্ধে বরাবর ভাল খেলতে পছন্দ করেন। তাকে যোগ্য সহায়তা করলেন নওয়াজ।
তবে আজ বল হাতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হার্দিক। তার শর্ট বল ফর্মুলা কাজ করল না। পাল্লা দিয়ে খারাপ বল করলেন চাহাল। ১২ থেকে ১৫ ওভারের মাথায় খেলাটা পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়ল। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল শামির অভাব বোধ করছে ভারত। তার অতিরিক্ত গতি এবং অভিজ্ঞতা নেই আরশদীপদের।
কিন্তু প্রশংসা প্রাপ্য পাকিস্তানের রিজওয়ানের। তিনি লড়াকু চরিত্রের ক্রিকেটার, আজ আবার প্রমাণ করলেন। ভারতের কেমন যেন প্ল্যান বির অভাব দেখা দিচ্ছিল। ভুবনেশ্বর ফিরিয়ে দিলেন নওয়াজকে (৪২)। শেষ পর্যন্ত হার্দিক তুলে নিলেন রিজওয়ানকে (৭১)। স্লো বলে সূর্য কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান।
রেজওয়ান ফেরার পরেও পাকিস্তানের বাকি ছিল ৩৫ রান। উইকেটে ছিলেন আসিফ আলি এবং খুশদীল শাহ। জঘন্য ক্যাচ মিস করলেন আর্ষদীপ। নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না তিনি। আসিফ আলি বেঁচে গেলেন। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৬। হাতে ৬ উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার ১৯ রান দিয়ে দিলেন। শেষ ওভারের প্রয়োজন ছিল ৭। আর্ষদীপ এই রান আটকাতে পারবেন না জানা ছিল। সেটাই হল। বদলার ম্যাচ হিসাব বরাবর করল পাকিস্তান।