আরও পড়ুন: বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে না ভারত! বড় সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই?
টোকিও অলিম্পিকসে জ্যাভলিন থ্রো-তে সোনা জিতেছিলেন নীরজ। প্যারিস অলিম্পিকসে পেয়েছিলেন রূপো। পরের পর দুটি অলিম্পিকসে পদক জয়ের পরে তিনি নিজে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। বেঙ্গালুরুতে এনসি ক্লাসিক নামের সেই প্রতিযোগিতাতেই পড়শি দেশের জ্যাভলিন থ্রোয়ার আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এর মাঝেই ঘটে যায় পহেলগাঁওতে জঙ্গিহানা। ভারত-পাক সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। আর এতেই আমজনতার রোষের মুখে পড়েন সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ।
advertisement
এই ঘটনার জেরেই তিনি সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে লেখেন, “আরশাদ নাদিমকে এনসি ক্লাসিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। চারিদিকে শুধু ঘৃণা আর কটূক্তি। আমার পরিবারকেও ছাড়া হচ্ছে না। একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে আমি লজ্জা বোধ করছি। আমি ক্রীড়াবিদ হিসাবেই শুধু আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমার লক্ষ্য ছিল এনসি ক্লাসিকের মাধ্যমে বিশ্বের সেরাদের ভারতে আনা। সব ক্রীড়াবিদদের সোমবার আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল, পহেলগাঁও কাণ্ডের আগেই আমন্ত্রণ চলে গিয়েছিল। এর পরের ৪৮ ঘণ্টায় যা ঘটেছে তারপর আরশাদের এই প্রতিযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না।”
আরও পড়ুন: খারাপ সময়ে কেকেআরে যোগ দিলেন ভয়ঙ্কর পেসার! খেলবেন কবে থেকে? জানা গেল আপডেট
এই ঘটনার জেরে তিনি যে ক্ষুব্ধ তাও লেখেন নীরজ। এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “আমি খুব কম কথা বলি। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে কোনও অন্যায় হলেও আমি চুপ করে থাকব। যখন, আমার দেশপ্রেম এবং পরিবারের সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তখন তো আমি মুখ খুলবই। আমার কাছে দেশ সবসময় আগে। এই ঘটনায় যে সকল মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রিয়জনদের সমবেদনা জানাই। এই ঘটনায় সকল দেশবাসীর মতোই আমিও শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমি আত্মবিশ্বাসী এই ঘটনার জবাব আমার দেশ, আমার প্রশাসন ঠিক দেবেই।”