মেরির সম্ভবত এটা শেষ অলিম্পিক। তবে ২০১২ লন্ডনে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের পর রিওতে কিছুই পাননি তিনি। শুধু মেরি নন, ব্রাজিলে বক্সিং থেকে একটিও পদক আসেনি ভারতের ঝুলিতে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে টোকিওতে এবার এমন ৯ জন বক্সার রয়েছেন, যাঁরা যে কেউ পদক জয়ের ক্ষমতা রাখেন। বিজেন্দ্র মনে করেন মনিশ কৌশিক এবার চমক দিতে পারেন। যেমন ২০০৮ সালে অখিল কুমারের পদক জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল। কিন্তু চমক দিয়েছিলেন বিজেন্দ্র। সেরকমই করে দেখাতে পারেন কৌশিক।
advertisement
আর মেরি নিজের অভিজ্ঞতা এবং চাপ সামলানোর ক্ষমতা দিয়ে পদক জয় করার জন্য নিজের সেরাটা দেবেন। এছাড়াও বিকাশ কৃষাণ, অমিত পাংহাল পদক জিতলেও জিততে পারেন। মেয়েদের মধ্যে সিমরানজিৎ কউর চমক দিতে পারেন। বিজেন্দ্র মনে করেন অমিতের ক্ষেত্রে একটা বড় সুবিধে তিনি বাঁহাতি। টানা তৃতীয় অলিম্পিক গেমসে বিজেন্দ্র সিংহের পর একমাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় বক্সিং বিকাশ টোকিও অলিম্পিকে দেশের পক্ষে কার্যক্রম শুরু করবেন, কারণ তিনি ৩২ এর রাউন্ডে জাপানি বক্সার মেনসাহ ওকাজাওয়ায়ের বিপক্ষে খেলবেন। পরের রাউন্ডে লন্ডন অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন কিউবান বক্সার রনিয়েল ইগলেসিয়াসের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
মেরি কম প্রথম রাউন্ডে ডোমিনিকান রিপাবলিকের মিগুয়েলিনা হার্নান্দেজের বিপক্ষে শুরু করবেন এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে রিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী কলম্বিয়ান বক্সিংয়ের ইংগ্রিট ভ্যালেন্সিয়ার সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্যপদক অমিত পাঙ্গাল (৫২ কেজি) তার প্রথম অলিম্পিক গেমসে তুলনামূলক সহজ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। বিজেন্দ্র মনে করেন বিগত কয়েক বছরে উন্নতি করেছে ভারতীয় বক্সিং। তাঁদের সময়ের থেকেও এখন আরো আধুনিক ট্রেনিং পাচ্ছেন বক্সাররা। ফলে একাধিক পদক আসতেই পারে বক্সিং থেকে।
