২০১৯ ফ্রেঞ্চ ওপেনের রানার আপ হয়েছিলেন এই ভোন্দ্রুসোভা। গোটা ম্যাচেই ওসাকা ঠিক ছন্দে ছিলেন না। ৩২টি আনফোর্সড এরর ছিল। বিপরীতে ভোন্দ্রুসোভার আনফোর্সড এরর মাত্র ১০টি। এটাই মূলত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে জাপানি তারকার জন্য। হেরে এতটাই মন খারাপ হয়েছে তাঁর, মিডিয়ার সঙ্গে কথাও বলেননি। অন্য পথ দিয়ে কোর্ট থেকে বেরিয়ে গেছেন।
advertisement
নারী টেনিসের ১ নম্বর তারকা অ্যাশলি বার্টি প্রথম রাউন্ডেই হেরে বসেছিলেন স্পেনের সারা সোরিবেসের বিপক্ষে। গতকাল ৩ নম্বর তারকা আরিনা সাবালেঙ্কা হেরেছেন দোন্না ভেকিচের বিপক্ষে, আজ হারলেন ২ নম্বর তারকা ওসাকা। সোফিয়া কেনিন ও বিয়াঙ্কা আন্দ্রিস্কু অলিম্পিকে খেলছেন না। ফলে র্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা এলিনা সভিতোলিনাই এখন সবচেয়ে বড় ফেবারিট এই ইভেন্টে।
২০২০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এই প্রথম কোনো হার্ডকোর্ট ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বিদায় নিলেন ওসাকা।পদবীতে ওসাকা থাকলেও তিনি মোটেই জাপানের ওসাকায় জন্মগ্রহণ করেননি। কিন্তু তাঁকে ঘিরেই অলিম্পিক্সে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে জাপান। নেয়োমি ওসাকার বেড়ে ওঠা এবং টেনিস শেখা আমেরিকার ফ্লোরিডায়। কিন্তু জাপানের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ বরাবর।
বছর দুয়েক আগে আমেরিকা তাঁকে নাগরিকত্ব দিতে চাইলেও তিনি নেননি। অলিম্পিক্সে তিনি খেলবেন জাপানের হয়েই। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি ফরাসি ওপেন, উইম্বলেডন না খেললেও, অলিম্পিকে দেশের হয়ে নামবেন, সে ব্যাপারে অন্তত মানসিক কোন সমস্যা ছিল না ওসাকার। এর আগে জাপানের লোকেরা মানসিক সমস্যা নিয়ে চুপ থাকতেন। ওসাকাই তাঁদের উৎসাহ দেন নিজের মনের কথা খুলে বলতে।
অলিম্পিক্সের আগে তাই ঘরের মেয়েকেই প্রচারের মুখ করে তুলেছিল মাউন্ট ফুজিয়ামার দেশ। তার এই হারে বিরাট ধাক্কা খেল জাপানের টেনিস। যদিও দেশের মাটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পদক জিতে চলেছে জাপান। কিন্তু ওসাকার বিদায় এত তাড়াতাড়ি হবে ভাবতে পারেনি তারা।
