প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতা নিয়ে কোচ পার্ক তাই সাং (Park Tae Sang) - এর সঙ্গে গেমপ্ল্যান তৈরি করেছেন তিনি। সিন্ধু নিজেও বিশ্বাস করেন অলিম্পিকে অঘটন ঘটতে বেশি সময় লাগে না। তাই নিজের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরার পাশাপাশি খুব বেশি আনফোর্সড এরর ( unforced error) করলে চলবে না।প্রথম রাউন্ডে ইজরায়েলের পলিকারপভা সেনীয়াকের বিরুদ্ধে ছন্দে ভারতের তারকা শাটলার পিভি সিন্ধু স্ট্রেট সেটে জিতে অভিযান শুরু করেছিলেন।
advertisement
সেই ফর্ম হংকং - এর প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে তুলে ধরবেন তিনি আশাবাদী কোচ পার্ক। এমনিতেই দেখা গিয়েছে অন্যবারের তুলনায় জাম্প স্ম্যাশ(Jump Smash) বেশি ব্যবহার করছেন ভারতীয় তারকা। নেট প্লে আগের থেকে উন্নত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোচের কাছে নিজেকে আরও বেশি তৈরি করেছেন সিন্ধু। ডিফেন্স আগের থেকে মজবুত। গ্রুপ জে- র এই ম্যাচ জিততে পারলে নক আউট পর্বে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন ভারতীয় তারকা।
তবে একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান সিন্ধু। শেষ ম্যাচে ইজরাইলি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১২ মিনিটে প্রথম গেম ২১-৭ জিতে নেন সিন্ধু, ৫-৫ থেকে গেম নিজের দখলে নিতে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি সিন্ধু৷ দ্বিতীয় গেম জেতেন ২১-১০৷ মাত্র ২১ মিনিটে জিতে নেন ৷ কিন্তু এত সহজ হবে না চেইং- কে সামলানো। কিন্তু সিন্ধু আশাবাদী ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে।
একমাত্র মীরাবাই চানু ছাড়া এখনও পর্যন্ত টোকিওতে ভারতের পদকের ভাঁড়ার শূন্য। সিন্ধু পদক আনবেন সেই আশায় আছেন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। তবে ব্যাডমিন্টন এর বিশ্বের সেরা স্পেনের ক্যারোলিনা মারিন (Carolina Marin) এবার নেই। এটা কিছুটা হলেও সুবিধা দিতে পারে সিন্ধুকে। টোকিও রওনা হওয়ার আগে সিন্ধু নিজে জানিয়েছিলেন রুপোর পদকের রং পাল্টে এবার সোনার পদক নিয়ে ফিরতে চান। তবে প্রত্যাশার চাপ নিজের ওপর নিতে নারাজ। কোর্টে নেমে নিজের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরাই লক্ষ্যে ভারতীয় তারকার।
