TTFI-র মহাসচিব জানিয়েছেন মনিকার বিরুদ্ধে দেশে ফিরলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ মণিকার অভিযোগ ছিল সুতীর্থার কোচকে জাতীয় দলের কোচ করা অপেশাদার ছিল ৷ এটা সঠিক ঘটনা সুতীর্থা সৌম্যদীপের অ্যাকাডেমিরই ছাত্রী৷ কিন্তু এই মুহূর্তে সৌম্যদীপই জাতীয় কোচ৷ এই অবস্থায় কিছুভাবেই সৌম্যদীপকে শুধুমাত্র সুতীর্থার কোচ বলা যায় না৷
তিনি জানিয়েছেন মনিকার সঙ্গে তাঁর কোচকে অলিম্পিক্সে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না৷ তিনি জানতেন করোনার কারণে কতজন কোচ যেতে পারবেন তার সংখ্যা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল৷ প্রতিটা ক্রীড়াবিদ জানতেন কীরকমভাবে কোচেরা টোকিও অলিম্পিক্সে যাবেন৷
advertisement
মহাসচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এএনআইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মনিকা নিজের কোচকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন৷ তাঁরাও আয়োজকদের কাছে ব্যক্তিগত কোচের জন্য আবেদন করেছিলেন৷ কিন্তু তার অনুমতি পাওয়া যায়নি৷ টোকিও পৌঁছনোর পরে নিজের আলাদা কোচ দাবি করা মোটেই সমীচীন নয়৷ তিনি বলেছেন সৌম্যদীপের সঙ্গে কথা বলে ম্যানেজার এমপি সিংহকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে দিতে বলেছিলেন৷
মনিকা নিজের কোচ সঞ্জয় পরাঞ্জপের জন্য খেলার মাঠের (Field of Play) বিশেষ অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন৷ খেলার শেষ মুহূর্তে তিনি তাঁর কোচকে নিয়ে যেতে পারেননি৷
মনিকার নিজের কোচের কোর্টে প্রবেশের অনুমতি নেই৷ টোকিও অলিম্পিক্সের প্রথম পর্বের ম্যাচে তিনি জাতীয় কোচ (Manika Batra Coach Controversy) সৌম্যদীপের থেকে পরামর্শ নিতে অস্বীকার করেন৷ তিনি সেই ম্যাচে ৯৪ তমস্থানাধিকারীর বিরুদ্ধে জেতেন৷ আর তৃতীয় রাউন্ডের খেলাতেও ফের একবার এই ঘটনা ঘটে৷ কিন্তু ১০ ক্রমতালিকার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁকে হারতে হয়৷ মিক্সড ডাবলসে তিনি যখন অচিন্ত্য শরত কমলের সঙ্গে নেমেছিলেন তখন সৌম্যদীপ কোর্টের এক কোণে দাঁড়িয়েছিলেন৷
