দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ পার্কের আধুনিক ট্রেনিং পেয়ে আরো যেন নিজেকে মেলে ধরার জন্য তাকিয়ে আছেন তিনি। কিন্তু গোপন অস্ত্র কী ? রালি বাড়ানোর কৌশল, নাকি আরো নিখুঁত ব্যাক হ্যান্ড? অতিরিক্ত স্পিন মেশানো সার্ভিস, নাকি জাম্প
স্ম্যাশ ? সিন্ধু মুখ খুলছেন না। বলবেনই বা কেন? দেখা যাবে কোর্টে।
ইজরায়েলের পলিকারপভা সেনীয়া তালিকায় সিন্ধুর থেকে অনেকটা পিছিয়ে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে হালকা করে দেখতে নারাজ ভারতের ব্যাডমিন্টন সেন্সেশন। লড়াইয়ে নামার আগে সিন্ধু মোটিভেশন খুঁজেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর থেকে। টোকিয়ো রওনা হওয়ার আগে অলিম্পিক্সের ওয়েবসাইটে সিন্ধু বলেছিলেন, ‘‘রোনাল্ডো যে ভাবে খেলেন, তা নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করার ভাষা নেই। ওঁর দক্ষতা, টেকনিক দুর্ধর্ষ।’’
advertisement
তবে ব্যাডমিন্টন এর বিশ্বের সেরা স্পেনের ক্যারোলিনা মারিন এবার নেই। এটা হয়তো কিছুটা হলেও সুবিধা করে দিতে পারে সিন্ধুর। আর তিনি নিজে শুধু একটা লক্ষ্যেই মনোনিবেশ করেছেন। পদকের রংটা রুপোলী থেকে সোনালী করতেই হবে তাকে। ব্রাজিলে যেখানে থামতে হয়েছিল, জাপানে আরও ওপরে ওঠাই একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু ধাপে ধাপে ভাবতে চান। একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান। এটাই তো উন্নতির লক্ষণ।
বিগত কয়েক মাস নতুন কোচের কাছে শিখেছেন প্রতিপক্ষের মানসিকতা বুঝতে গেলে কী করতে হবে। ম্যাচ চলাকালীন নিজের কাউন্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে। সবমিলিয়ে শুধু প্রতিভা নয়, ট্যাকটিক্যাল দিক থেকেও এবার অনেক পরিণত সিন্ধুকে দেখা যাওয়ার আশা।
