ইউনূস সেন্টারের পাশাপাশি ড. মহম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। এতে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অলিম্পিক লরেল পেয়ে আমি সম্মানিত এবং অভিভূত। একইসঙ্গে আমি দুঃখিত যে, সশরীরে আপনাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ক্রীড়ার সামাজিক প্রভাবকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে উল্লেখ করে ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই বিশ্ব পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারেন। এবং সৃষ্টি করতে পারেন তিনটি শূন্যের; এগুলো হচ্ছে- শূন্য কার্বন নির্গমন, সম্পদের শূন্য পুঞ্জিভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব।
advertisement
ড. ইউনূস তার বার্তায় খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সফলতা কামনা করেন। সবশেষ এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা এবং অলিম্পিক লরেল সম্মান পেয়ে সবাইকে ফের ধন্যবাদ জানান এ অর্থনীতিবিদ। যেসব ব্যক্তি ক্রীড়ার মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি, উন্নয়ন ও শান্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, তাদেরই এই সম্মাননা দেয়া হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন এই পুরস্কারপ্রাপ্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি। তার আগে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক লরেল জিতেছিলেন কেনিয়ার প্রাক্তন অলিম্পিয়ান কিপ কেইনো। ইউনুস এমন এক পরিকল্পনা করেছেন যার ফলে বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা টাকা পয়সার দিক থেকে কিছুটা সুরাহা পাবেন। টাকার অভাবে আটকে যাবে না অ্যাথলিটদের স্বপ্ন। বিগত কয়েক বছর ধরে তার সংস্থা এই কাজ করছে। এমন নতুন চিন্তাধারার জন্য তাকে সম্মান জানানো হল।
