ছেলের প্রিয় মিষ্টি এবং ফলের রস নিয়ে এসেছিলেন মা। সেখানে বসেই তাঁদের গলায় ঝুলিয়ে দিলেন সোনার পদক। যেন ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে গেলেন ছোটবেলায়। কৃষক পরিবারের সন্তান জানতেন না একদিন দেশের হয়ে সোনা জিতবেন। কিন্তু নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী হলে সবকিছুই সম্ভব প্রমাণ করেছেন তিনি।
পরে মাইক হাতে জানালেন, " অনেক পুরনো কথা মনে পড়ছিল। আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি মা, বাবার অবদান না থাকলে হত না। পয়সার জোর ছিল না। কিন্তু আমাকে সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। এটাই আমার মধ্যে আগুন জ্বালিয়েছিল। তাই নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম"। মজা করে জানালেন সবসময় পদক পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। সারা শরীরে অসম্ভব ব্যথা। কিন্তু পদক দেখে নিলেই ব্যথা কমে যাচ্ছে।
advertisement
নিজের প্রথম অলিম্পিকে অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন কখনই সামনের প্রতিপক্ষকে দেখে ভয় পেয়ে যাওয়া উচিত নয়। মানসিক দিক থেকে নিজেকে সেরা মনে করতে হবে। পাশাপাশি এই পদক তাঁর একার নয়, গোটা দেশের জানিয়ে দিলেন সোনার ছেলে। ভারতের অলিম্পিক ইতিহাসে নতুন সূর্যোদয় ঘটিয়েছেন তিনি। হরিয়ানার বাড়িতে ফিরে মায়ের হাতের চুরমা এবং গোলগাপ্পা খাবেন বলে মুখিয়ে আছেন।
কথা উঠছে তাঁকে নিয়ে বলিউডে বায়োপিক করার। দাবিটা এমন কিছু অযৌক্তিক বলা যাবে না। কিন্তু নীরজ এখনই এসব নিয়ে ভাবতে চান না। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে নিজের ক্যারিয়ার ছাড়া অন্যদিকে মন দেবেন না। দেশের হয়ে আরও পদক জিততে চান। আরো সম্মান নিয়ে আসতে চান।
পরের বছর এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জেতা প্রাথমিক লক্ষ্য। নিজের জ্যাভলিন ছোঁড়ার দূরত্ব বাড়িয়ে ৯০ মিটার করতে চান। তারপর প্রস্তুতি নেবেন প্যারিসের জন্য। বায়োপিক যখন অবসর নেবেন তখন ভাববেন।