#কলকাতা: দ্রৌপদীকে পেতে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল অর্জুনকে। যোধার মন পেতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি আকবরকে। কিন্তু হবু বউয়ের নাম্বার পেতে ডার্বি জয়? বা ডার্বি সেরা হওয়ার চ্যালেঞ্জ? ঠিক এমনটাই হয়েছিল ময়দানি বাজপাখির সঙ্গে। উৎসবের মরশুমে তো চিফগেস্ট হওয়ার হাজার অনুরোধ আসে সেলেব্রিটিদের কাছে। বছর সাতেক আগে ডানলপে এক দুর্গাপুজোয় এমনই এক উটকো আবদারে ফেঁসে যান মোহনবাগান গোলরক্ষক শিল্টন পাল। যাব না, যাব না করেও নিজের অনিচ্ছাতেই যেতে হয়েছিল ডানলপের সেই পুজোয়।
advertisement
ভাগ্যিস গিয়েছিলেন। প্রধান অতিথির মঞ্চ থেকেই বাজপাখির চোখ আটকে গিয়েছিল ফুটফুটে এক সুন্দরীর দিকে। কিন্তু প্রধান অতিথি বলে কথা। লজ্জার আড় ভেঙে নাম্বারটা আর নেওয়া হয়নি, নামও জানা হয়নি। পরে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমেই সেই অনামিকার ভাই-র নাম্বার হাতে আসে। ফুটবলদেবতার একটু একটু সাহায্য মিলেছিল বটে। ভাগ্যক্রমে সেই মেয়ের ভাইটি আবার অতি বড় মোহনবাগানী সমর্থক। দু-একদিন কথা হওয়ার পর প্রসঙ্গে ঢুকতেই ভাই-র শর্ত, ‘‘ডার্বি জেতান, ডার্বি সেরা হন, তাহলেই মিলবে বোনের নাম্বার।’’
আরও পড়ুন - অনস্ক্রিনে চুমু থেকে নগ্নতা- না করে দিয়েছেন বলিউডের এই ‘Hot’ তারকারা
শর্ত শুনে বাজপাখির তখন কবুতরের হাল। যাই হোক, মাস চারেক পরে ডার্বি একটা এল। দুরন্ত খেলে ম্যাচের সেরা হলেন শিল্টন। বাজপাখির কৃতিত্বেই জিতল মোহনবাগান। ব্যাস, শিল্টুকে আর পায় কে!যেমন কথা তেমন কাজ। হাতে এসে গেল বহুূ প্রতীক্ষিত সেই নাম্বার। গল্পের সেই শুরু।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর সেই ডার্বি কন্যা সায়না মন্ডলের সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে শিল্টন পাল।
মোহনবাগানের ছেলের বিয়ে বলে কথা। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রিসেপশন সবেতেই তাই সবুজ-মেরুন ছোঁয়া। দিল্লির ডিজাইনারের বল আঁকা মেরুন পাঞ্জাবিতে সাজবেন শিল্টন। পাত্রী সায়নার বেনারসিতেও মেরুন ছোঁয়া। ১৪ ডিসেম্বর নিক্কো পার্কে বিয়ের রিসেপশনের মেনুতালিকায় থাকছে বাগানের ট্রেডমার্ক গলদা চিংড়ি। সঙ্গে শেষ পাতে সবুজ-মেরুন সন্দেশ আর রসগোল্লা। শিল্টন-সায়নার নতুন ইনিংসের জন্য রইল নিউজ এইট্টিন বাংলার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। গোলরক্ষার পাশে এবার যে শিল্টনের কাঁধে নতুন দায়িত্ব। সায়নার মনরক্ষা। অল দ্য বেস্ট শিল্টন অ্যান্ড সায়না।
আরও দেখুন

