মিরাবাই চানু, জেরেমি লালরিননুঙ্গাদের পদক জয়ের সম্ভাবনার পাশে টোকিওতে নামার জন্য যোগ্যতা আশা জিয়ে রাখলেন বাংলার ভারোত্তলক রাখি হালদার।৮৬৫ পয়েন্ট পেয়ে প্রতিযোগিতায় সেরা মহিলা ভারত্তোলকের পুরস্কার জিতে নিলেন পদ্মশ্রী মিরাবাই চানু। ৬৫৮ পয়েন্ট পেয়ে পুরুষ বিভাগে সেরা মিজোরামের জেরেমি। পুরুষ ও মহিলাদের দলগত বিভাগে সেরা রেলওয়েজ। শনিবার কলকাতা ছাড়ছেন টোকিও অলিম্পিকে ভারতের অন্যতম সেরা বাজি মিরাবাই চানু। এখান থেকেই সরাসরি উড়ে যাবেন পাতিয়ালার জাতীয় শিবিরে।
advertisement
এপ্রিলে কাজাখস্তানে এশীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি টোকিও অলিম্পিকের জন্য পাতিয়ালাতেই প্রস্তুতি সারবেন ভারতীয় ভারোত্তোলন পোস্টার-গার্ল। ১০০ কোটির দেশে অলিম্পিক পদক চাপে ইতিমধ্যেই হাঁসফাঁস অবস্থা বছর পঁচিশের মনিপুরী কিশোরীর। কোচ বিজয় শর্মা সারাক্ষণ আগলে রেখেছেন চানুকে। কলকাতা ছাড়ার আগে চানু বলছিলেন, "কলকাতা আমাকে আত্মবিশ্বাস জোগাল। এখানকার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের অভিজ্ঞতা টোকিও অলিম্পিকে কাজে লাগবে।। চোট না পেলে দেশের জন্য পদক আনব।'' শহর ছাড়ার আগে চানুর গলায় ঝরে পড়ছে আত্মবিশ্বাস।
কোচ বিজয় শর্মা বলছেন, ''ওর খাদ্য তালিকা ঠিকঠাক রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য। যাতে ওজন না বাড়ে, সেই দিকে। নজর রাখতে হবে।" টোকিওতে মহিলাদের ৪৯ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মিরাবাই চানু। এদিকে জাতীয় স্তরের ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সাড়া মেলায় উচ্ছ্বসিত আয়োজকরা। বেঙ্গল ভারোত্তোলন সংস্থার সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরী বলছিলেন, "চানুর পাশে বাংলা থেকে এক দুজন অলিম্পিক দলে জায়গা করে নিতে পারলে ভবিষ্যতে রাজ্য ভারোত্তলনে ছবিটা বদলে যাবে।" প্রসঙ্গত টোকিও অলিম্পিক দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার মেয়ে রাখি হালদারের।
Paradip Ghosh
