স্ন্যাচে ৮৮ কেজিতে থামতে হল। ৪৯ কেজি বিভাগে, ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ক্যাটাগরিতে তুললেন ১১৫ কেজি। মোট ২০৩ কেজি। জাতীয় স্তরে নতুন নজির বটে। তবে লক্ষ্য থেকে এখনো বেশ কিছুটা পিছিয়ে মনিপুরী ভারোত্তলক।
কলকাতায় এসেছিলেন ২০৭ কেজি ওজন তোলার লক্ষ্য নিয়ে। তারপর ক্রমে ক্রমে সেটা বাড়িয়ে এপ্রিলে কাজাখস্তানের এশিয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ২১০ কেজি করার লক্ষ্য ছিল। ভারতীয় ভারোত্তোলনের পোস্টার গার্লের কোচ বিজয় শর্মার কথায়, ‘ ২১০ কেজি তুলতে পারলে টোকিও অলিম্পিকে পদক নিশ্চিত।’ তবে? ভারোত্তোলনে মালেশ্বরী বা কুঞ্জরাণীর মতই কি অলিম্পিক পদক অধরা থাকবে মনিপুরী কিশোরীর?
advertisement
নতুন নজির গড়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সোনার পদক গলায় ঝুলিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই খিলখিল করে হেসে ওঠে চানু। জানালেন, ‘চিন্তা করবেন না। কাজাখস্তানের এশিয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলব। অলিম্পিকের জন্য অংক কষে, হিসেব করেই এগোচ্ছি। এখানকার ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট।’
ছোট্ট একটু বিরতি। তারপরেই মুখের হাসিটা ধরে রেখেই যোগ করলেন, ‘আমার জন্য প্রার্থনা করুন, যাতে অলিম্পিকের আগে কোন রকম চোট না পাই। ফিট থাকলে টোকিও থেকে দেশকে একটা পদক এনে দেব৷’ ছোটখাটো চেহারার মেয়েটার গলা চুইয়ে পড়ে একরাশ আত্মবিশ্বাস।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চানুর পারফরমেন্সে খুশি দেশের ভারোত্তোলন সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা। বাংলার ভারোত্তোলন সংস্থার সভাপতি চন্দন রায় চৌধুরীর কথায়, ‘চানু পারবে। চানুর অলিম্পিক পদক এখন সময়ের অপেক্ষা।’ হয়তো তাই। কিন্তু সামনে এখনো ছয়টা মাস। অনেকটা সময়, অনেকটা পথ। কঠিন থেকে কঠিনতর চ্যালেঞ্জ।
৪৯ কেজিতে বিশ্ব রেকর্ড এখনও বহু দূর। স্ন্যাচে ৯৪, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১২০ কেজির বিশ্বরেকর্ড। চানু এখনও পিছিয়ে। টোকিওর অলিম্পিক পোডিয়ামে ওঠার রাস্তাটা মসৃণ নয়। ২৫-এ পা দেওয়া মনিপুরী কিশোরীর থেকে ভালো সেটা আর কে জানে!
PARADIP GHOSH
