লভলিনার মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। আগের থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন ভাল। তবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তাই মঙ্গলবার আবার তিনি মেয়ের সঙ্গে কলকাতায় এলেন চেক-আপের জন্য। মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল লভলিনার মায়ের। এদিনও সেখানেই এলেন তিনি। মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় সামনে থাকতে পারেননি লভলিনা। সেই সময় তিনি অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য নয়াদিল্লিতে। লভলিনার বাবা প্রায় একা হাতেই সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। রোজ ফোনে মায়ের খোঁজ-খবর নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না তখন লভলিনার। মায়ের জন্য চিন্তা তাঁর প্রস্তুতিতেও প্রভাব ফেলেছিল। তবে সেসব দিন এখন অতীত। মা আগের থেকে ভাল আছেন। তাই এদিন কলকাতায় এসে চিকিত্সক ও হাসপাতালকর্মীদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলে গেলেন লভলিনা।
advertisement
নেফ্রোলজিস্ট ডাক্তার ডি এস রায় লভলিনার মায়ের চিকিত্সা করছেন। স্ত্রীর কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রায় পাঁচ মাস কলকাতাতেই থাকতে হয়েছিল লভলিনার বাবাকে। তবে অলিম্পিক্স থেকে ফেরার পর এবার লভলিনা নিজেই মাকে নিয়ে এলেন কলকাতায়। লভলিনা বাড়ির ছোট মেয়ে। তাঁর এক দিনি থাকেন রাজস্থানে। আরেক দিনি শিলিগুড়িতে। ছোট থেকে কিকবক্সিংয়ে মন ছিল লভলিনার। তবে পরে বক্সিংয়ের প্রতি ভালবাসা জন্মায়। আর সেই বক্সিং এখন তাঁকে যেন আলাদা এক পরিচয় দিয়েছে।