ভ্যাকসিন নেননি মিলখা। বাড়ির লোকজন তাঁকে বারবার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তবে মিলখার জবাব ছিল, আর দরকার নেই। দেশভাগ দেখেছেন। ওপার থেকে এপারে এসে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই লড়েছেন। তাঁর জীবনযুদ্ধ মানুষ পর্দায় দেখেছেন। এক গ্লাস দুধের জন্য মিলখার দৌড় শুরু। সেই দৌড়ই তাঁকে ফ্লাইং শিখ করে তুলেছিল। ১৭ জুন থেকে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ১৮ জুন সকালে শরীরে অক্সিজেন লেভেল নেমে যায়। সেদিন থেকেই মিলখার শারীরিক অবস্থা কারাপ হতে থাকে। ডাক্তাররা বলছিলেন, করোনার হানায় তাঁর ফুসফুস ৮০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যে ফুসফুসের জোরে তিনি বিশ্বজয় করেছিলেন! শুক্রবার সকালেও ডাকক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মিলখা। ডাক্তাররা তাঁকে সকালের খাবার খেতে বলেছিলেন। মিলখা ডাক্তারদের পাল্টা বলেন, আপনারাও এবার চা-বিস্কুট খেয়ে নিন।
advertisement
১৯ মে বিকেলে মিলখা সিংয়ের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাড়ির এক পরিচারিকার থেকে মিলখার শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। ২৪ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নিমোনিয়ার উপসর্গও ছিল তাঁর শরীরে। ২৬ মে তাঁর স্ত্রীর রিপোর্টও পজিটিভ আসে। ৩০ মে পরিবারের লোকজনের অনুরোধে মিলখাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর ৩ জুন ফের তাঁর শরীরের অক্সিজেনের লেভেল পড়তে থাকে। ১৩ জুন মিলখার স্ত্রী নির্মল কউরের জীবানবসান হয়। পাঁচদিনের মাথায় মিলখাও চলে গেলেন ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে শূন্যতা তৈরি করে।