TRENDING:

Tokyo Olympics: ২৫-এ অলিম্পিকে নামবে মেয়ে, সব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন প্রণতির বাবা

Last Updated:

প্রণতি নায়েক। বাংলার প্রণতি এখন টোকিওয়। অলিম্পিকের আসরে। ২৫ জুলাই সকালে দেশের জন্য পদক জয়ের লক্ষ্যে অলিম্পিকে নামবেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পিংলা: পিংলা থেকে টোকিও। উত্থান বললেও বোধ হয় কম বলা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রামের মেয়ের জন্য এখন গোটা দেশ গর্বিত। বাংলার খেলাধূলায় বরাবরই গ্রামের ছেলেমেয়েরা অবদান রেখেছেন। আর সেই তালিকায় এবার আরও একটি নাম উঠল। প্রণতি নায়েক। বাংলার প্রণতি এখন টোকিওয়। অলিম্পিকের আসরে। ২৫ জুলাই সকালে দেশের জন্য পদক জয়ের লক্ষ্যে অলিম্পিকে নামবেন প্রণতি। সেই কথা ভেবে এখন থেকেই শিহরিত হচ্ছেন প্রণতির মা প্রতিমা নায়েক। পরিবারের কেউই কখনও আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে নাম লেখায়নি। কিন্তু মেয়ে প্রণতি এখন এমনই এক খেলায়। আর সেটা ভেবেই প্রতিমাদেবীর গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে। হাজার প্রতিকূলতা জয় করে মেয়ে এতদূর এগিয়ে গিয়েছে যখন, দেশের জন্য পদক জিতেই ফিরবে, দৃঢ়বিশ্বাস প্রণতির মায়ের।
advertisement

প্রণতির বাবা শ্রীমন্ত নায়েক আবার আরেক সমস্যায়। তিনি তো জানতেনই না মেয়ের খেলা কোন চ্যানেলে দেখাবে! তাই বাধ্য হয়ে কেবল অপারেটরকে বলে এই মাসে সমস্ত চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রেখেছেন। কোনওভাবেই মেয়ের খেলা মিস করতে চান না তিনি। শ্রীমন্তবাবু বলছিলেন, এমন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মিস করলে চলবে না। ও অনেক কষ্ট করে এতদূর এগিয়েছে। ভাল খাবারও জোগাতে পারিনি। অভাবেরস সংসার থেকে এতদূর উঠেছে। ও দেশকে গর্বিত করে ফিরুক এটাই চাইব। শুধু বাবা-মা নন, প্রণতির গ্রামের সবাই এখন তাঁকে নিয়ে গর্বিত। ২৫ জুলাই গ্রামের প্রত্যেকের নজর থাকবে টিভির পর্দায়। মা প্রতিমা নায়েক বলছিলেন, দুবছর বয়স থেকেই ও খুব ছোটাছুটি করত। তার পর গাছে ওঠা থেকে শুরু করে পুকুরে সাঁতার কাটা, সবই করত। এর পর ওর মামীই জিমন্যাস্টিকসে ভর্তি করে দেয়। তবে প্রণতি পড়াশোনাতেও ভাল।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

বাবা শ্রীমন্ত নায়েক ছিলেন বাস ড্রাইভার। মাসের সব দিন কাজ থাকত না। অভাবের সংসার। তবে প্রণতির উত্সাহে কোনওদিন ভাঁটা পড়তে দেননি বাবা-মা। প্রণতি ২৫ জুলাই টোকিওয় যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামবেন। ঠিক সেই সময়ই হয়তো গ্রামের বাড়িতে বসে মেয়ের বাবা-মায়ের চোখ থেকে আবেগের অশ্রু ঝড়বে। প্রণতিকে ঘিরে এবার গোটা দেশের স্বপ্ন। গতবার যে স্বপ্ন দেশের মানুষ দীপা কর্মকারকে ঘিরে দেখেছিলেন। কলকাতার সাইতে থেকে অনুশীলন করেন প্রণতি। তবে টোকিও উড়ে যাওয়ার আগে গ্রামের বাড়িতে ঘুরে গিয়েছেন। মেয়ের সাফল্যের কামনা করে রোজ প্রার্থনা করছেন বাবা-মা। গোটা দেশই এখন প্রণতির পদকের আশায় বুক বাঁধছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Tokyo Olympics: ২৫-এ অলিম্পিকে নামবে মেয়ে, সব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন প্রণতির বাবা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল