#কলকাতা: মহেশের জন্য উপচে পড়া সহানুভূতি। লিয়েন্ডারের জন্য বিদ্রুপ মেশানো উপেক্ষা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আড়াআড়ি বিভক্ত ভারতীয় টেনিস। লিয়েন্ডার বনাম ভূপতি। এই মেরুকরণেই ফালাফালা অমৃতরাজ, রমেশ কৃষ্ণণদের উত্তরসূরিরা। প্রাক্তন সোমদেব থেকে বর্তমানের বোপান্না। লি-হেশের ইগোর লড়াইতে বিদ্ধ ভারতীয় টেনিসের জেন-এক্স।
কলকাতায় এক টেনিস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে এসে সোমদেবের বক্তব্যই বলে দিচ্ছিল ভারতীয় টেনিসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবিটা। নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেনের হটসিট থেকে মহেশ ভূপতিকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়শনের কড়া সমলোচনায় সোমদেব। মহেশের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। এআইটিএ-কে একহাত নিয়ে সোমদেব বলছেন, ‘‘ভারতীয় টেনিসে মহেশের অবদান অনস্বীকার্য। নিজের কেরিয়ারটা ভারতীয় টেনিসের জন্যই উৎসর্গ করেছিলেন মহেশ। এআইটিএ মহেশের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেয়নি, সেটা দুর্ভাগ্যের।’’
advertisement
যে ভাবে, যে পদ্ধতিতে মহেশকে সরানো হয়েছে তা অযৌক্তিক বলেই থেমে থাকা নয় ৷ একইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লিয়েন্ডারদের ক্লিনসুইপকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ টেনিসের পদকজয়ী। সোমদেব সাফ বলছেন, ‘‘পাকিস্তান তো পূর্ণশক্তির দলই আনতে পারেনি। জুনিয়রদের নিয়ে তৈরি পাকিস্তানকে হারানোটা সহজই।’’ কোথাও যেন পাকিস্তানকে দুর্বল বলার মধ্যেই লিয়েন্ডারের জয় নিয়েও বিদ্রুপ মিশে রইল সোমদেবের। হায় রে ভারতীয় টেনিস।

