এই বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার হয়ে গেল তারকা পেসারের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫টি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪টি ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫টি। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকাতেও চলে এলেন শামি। মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেই তালিকায় জায়গা করে নিলেন। শুরু থেকে খেললে হয়তো আরও উপরের দিকে থাকতেন শামি। তবে যেভাবে আগুন ঝরাচ্ছেন শামি তাতে আগামি ম্যাচগুলিতে শীর্ষে ওঠারও সুযোগ থাকছে।
advertisement
বর্তমানে চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় ৭ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কা। ৭ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো জানসেন ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা। ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম স্থানে ভারতের জসপ্রীত বুমরাহ। আর মহম্মদ শামি মাত্র ৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে।
শামি ছাড়াও ৭ ম্যাচে ১৪ ও ৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সপ্তম ও অষ্টম স্থানে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার ও দক্ষিণ আফ্রিকা জেরাল্ড কোয়েটজে। ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে নবম স্থানে পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ ও ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে দশম স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। ফলে তালিকায় বলে দিচ্ছে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়ার লড়াই কত জোরদার। তবে শামির ৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান করে ভারত। শুভমান গিল করেন ৯২ রান, বিরাট কোহলি ৮৮ রান ও শ্রেয়স আইয়ার ৮২ রান করেন। ৩৫৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মহম্মদ শামি ৫টি, মহম্মদ সিরাজ ৩টি ও জসপ্রীত বুমরাহ ১টি, রবীন্দ্র জাদেজা ১টি উইকেট নেন। ৩০২ রানের রেকর্ড ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমি ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল ভারত।