জার্মানি - ১
#দোহা: এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিল এটা। একদিকে জার্মানি অন্যদিকে স্পেন। একদিকে যখন প্রথম ম্যাচে ৭ গোল করেছিল স্পেন, তখন অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল জার্মানরা। ৪-১-২-৩ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিল স্পেন। অন্যদিকে ৪-২-৩-১ বল নামিয়েছিল জার্মানি। প্রথমার্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই স্পেনের দাপট ছিল বেশি।
advertisement
পরিসংখ্যান বলছিল ১৯৮৮ সালের পর থেকে এই ম্যাচে পাল্লা ভারী স্প্যানিশদের। মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় স্পেনের ড্যানি ওলমোর শট জার্মান গোলরক্ষকের হাতে লেগে পোস্টে লাগল। এরপর অবশ্য জার্মানির ডিফেন্ডার রুডিগার হেডে গোল করলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
গুন্ডগান, নর্বি, কিমিচদের মত ফুটবলার থাকলেও জার্মান দলকে নিজেদের পাসিং ফুটবল দিয়ে চাপে রেখেছিল স্প্যানিশরা। জার্মানি যে কোস্টারিকা নয় সেটা বিলক্ষণ জানা ছিল স্পেনের ম্যানেজার এনরিকের। তাই আসেনসিও, পেড্রি, গাভিরা নিজেদের ডিফেন্স বাঁচিয়ে আক্রমণে উঠছিলেন।
৫৩ মিনিটে ফেরান তোরেসের জায়গায় স্ট্রাইকার মোরাটাকে নামিয়ে দেয় স্পেন। গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল জার্মানরা। কিমিচের শট সেভ করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই। ৬৩ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। ডেভিড আলবার ক্রস থেকে ফ্লিক করে বল জালে পাঠান মোরাটা।
এরপর আসেনসিও সহজ সুযোগ না হারালে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত স্পেন। কোকে এবং উইলিয়ামসকে এরপর একসঙ্গে মাঠে নামিয়ে দেন এনরিকে। ৭০ মিনিটে একসঙ্গে তিনটে পরিবর্তন নেয় জার্মানি। ৮৩ মিনিটে এর সুফল পেল তারা। সানে, জামাল হয়ে ফুলক্রুগ - বল জোরালো শটে জড়িয়ে গেল জালে। বিশ্বকাপে বেঁচে থাকল জার্মানরা। শেষ ম্যাচে তারা কোস্টারিকাকে হারালে এবং অন্যদিকে স্পেন জাপানকে হারালে নক আউট পৌঁছে যাবে ফ্লিকের দল।