ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক হিসেবে উইলিয়ামসনের জীবনে এর থেকে বড় সম্মানের মুহূর্ত হয়তো আসেনি। তাই নিজের দেশ নিউজিল্যান্ডকে গর্বিত করতে চান তিনি। কিন্তু তিনি জানেন লড়াইটা সহজ নয়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বিরাট কোহলির সঙ্গে টস করতে নামার অপেক্ষায় কেন উইলিয়ামসন। ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে দু’জনে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলছেন। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাই অন্য মাত্রা পাচ্ছে ১৮ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় সাউদাম্পটনের ফাইনালে।
advertisement
আইসিসি’র সরকারী ওয়েবসাইটে উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন পর্যায় ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় একে অন্যের বিরুদ্ধে খেলেছি। একে অন্যকে খুব ভালো ভাবে চিনি। প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওর সঙ্গে টস করতে নামার জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছি।’ ভারতীয় দলের বোলিং গভীরতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল উইলিয়ামসন। কিউয়ি অধিনায়কের কথায়, ‘ভারত অসাধারণ দল। ওদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। অস্ট্রেলিয়া সফরে তার প্রমাণ মিলেছে। পেস ও স্পিন, দুই বিভাগেই ওরা শক্তিশালী। এই কারণেই ভারত র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে বিরাজ করছে। ফাইনালে সেরা দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর দুর্দান্ত সুযোগ পাচ্ছি আমরা।’
সাউদাম্পটনে ফাইনালের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই বিষয়টিও মাথায় রাখছেন উইলিয়ামসন। তবে বাইশ গজে খুব বেশি ঘাস থাকবে না বলে আশা করছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘হয়তো একটু ঘাস ছাঁটা হবে পিচে। রোলও করা হবে। কন্ডিশন দেখার পর দল নিয়ে ভাবব। এখন স্রেফ বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় ঘুরছে। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি যেমনই হোক সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে ডিউক বলে খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’
ভারতীয় দলে ফাস্ট বোলার হিসেবে শামি, ইশান্ত, বুমরা যেমন রয়েছেন, তেমনই স্পিনার হিসেবে অশ্বিন এবং জাদেজা নিজেদের দিনে বিপক্ষ শিবিরে ত্রাসের সঞ্চার করতে পারেন। ভাঙা বল দিয়ে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। এখন দেখার সম্মানের লড়াইয়ে কোন দল বাজিমাত করে।