মুম্বই সিটি এফসি - ৩
( আপুইয়া - ২, স্টুয়ার্ট)
#কলকাতা: বিশ্বকাপের ভরা বাজারে কজন ফুটবল সমর্থক ইন্ডিয়ান সুপার লিগের খবর রাখছেন জানা নেই। তবে কলকাতার ফুটবল প্রেমীরা ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের খবর রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক। শুক্রবার যুবভারতীতে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ছিল শীর্ষে থাকা দল মুম্বই সিটি এফসি। আজকের আগে পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল এই দলটাকে হারাতে পারেনি কখনও। মোহনবাগানও তাই।
advertisement
শেষ ম্যাচ হায়দারাবাদ ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। আজ আশা করা গিয়েছিল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোথায় কি? উল্টে ৩-০ পরাজিত হল লাল হলুদ। দুটি গোল করলেন আপুইয়া, একটি গোল করলেন স্টুয়ার্ট। স্টুয়ার্ট এদিন দুর্দান্ত ফুটবল খেলেন। আবার প্রমাণ করে দিলেন কেন তিনি ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা এবং ধারাবাহিক বিদেশি।
এই নিয়ে চলতি আইএসএলে সপ্তম পরাজয় হল ইস্টবেঙ্গলের। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তার হাতে ফুটবলারদের মান আগের দুই বছরের মতই বাজে। উন্নতির লক্ষণ নেই। ফলে আবার ঘরের মাঠে লজ্জার পরাজয় লাল হলুদের। এলিয়ান্ডর এত বড় চেহারার একজন ব্রাজিলিয়ান দ্বিতীয়ারদের শুরু থেকে নামলেন, কিন্তু কতবার পায়ে বল পেলেন সেটা গুনে দেখতে হবে।
অনিকেত যাদব এবং সৌভিক চক্রবর্তীকে নিয়ে এসেও লাভ হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস ক্রমশ তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে আজকের হারের পর সেটাই স্বাভাবিক। ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস তার সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন প্রমাণিত।
জেরি বক্সের মধ্যে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় মুম্বই। তবে বল উড়িয়ে দেন গুরুকিরত, না হলে ইস্টবেঙ্গলের লজ্জা বাড়তে পারত। হোম ম্যাচের হিসাব করলে ১০ গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এর আগে যে চারটি ম্যাচ মুম্বাই খেলেছে তাতেও একটি গোল খাইনি তারা।
এদিন ইস্টবেঙ্গলের লিমার একটি প্রচেষ্টা পোস্টে লাগে। তবে বল সাপ্লাই না পেয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন ক্লেটন সিলভা। এই নিয়ে পরপর পাঁচটা জয় তুলে নিল মুম্বই। ইস্টবেঙ্গল থাকল অষ্টম স্থানে।