ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ফ্যান বয় হিসেবেই এমএস ধোনির সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভিগনেশ পুথুর। খুব মন দিয়েই ধোনি তাঁর কথাও শোনেন। সেই সময় ভিগনেশের কাঁধ চাপড়ে দিয়ে উৎসাহ দেন ধোনি। শোনা যাচ্ছে যে, ভিগনেশের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন ধোনি। এমনকী, সেই সঙ্গে তাঁকে তাঁর নাম এবং বয়সও জিজ্ঞাসা করেন। ক্যামেরাবন্দি সেই মুহূর্তটিই আপাতত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মাত্র ১১ বছর বয়সেই ক্রিকেট খেলার সফর শুরু করেছিলেন ভিগনেশ। তবে ডোমেস্টিক ক্রিকেট খেলেননি তিনি। ৩০ লক্ষ টাকায় তাঁকে দলে নিয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের বোলারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মুম্বই টিমই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কাউটের মাধ্যমেই ভিগনেশ নজরে চলে আসেন।
advertisement
৪ ওভারে মাত্র ৩২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন ভিগনেশ পুথুর। নিজের প্রথম ওভারেই চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপরের ওভারে শিবম দুবেকে আউট করে সোজা প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন ভিগনেশ। এখানেই শেষ নয়, নিজের তৃতীয় ওভারে দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান দীপক হুডাকে আউট করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ২ মার্চ কেরলে জন্ম এই উঠতি ক্রিকেট তারকার। বোলিংয়ের সময় বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে বল করেন ভিগনেশ। আর ব্যাটিংয়ের সময় অবশ্য ডান-হাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন তিনি।
কেরলের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৪ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন ভিগনেশ। কেরল ক্রিকেট লিগের অ্যালেপ্পি রিপলস-এর হয়ে খেলার সময় তিনটি ম্যাচে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন ভিগনেশ। প্রথম দিকে মিডিয়াম পেস এবং স্পিনে বোলিং করতেন ভিগনেশ। এরপর স্থানীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শরিফ তাঁকে লেগ স্পিনে বোলিং করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অবশ্য চায়নাম্যান-এর বিষয়ে কিছুই জানতেন না ভিগনেশ, কিন্তু নিজের বোলিংকে শান দিতে বরাবর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভিগনেশ পুথুরের মা একজন গৃহবধূ। তাঁর নাম কেপি বিন্দু। আইপিএল-এ নিজের পথ তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।