বিশালের ভুলের সুযোগ নিয়ে বাগানের জালে বল জড়ান কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। মোহনবাগানের গোলরক্ষকের এমন ভুল স্কুল পর্যায়ের গোলরক্ষকরাও করে না। মোহনবাগানের খেলায় আধিপত্য থাকলেও বিপক্ষ বক্সে গিয়ে কাজের কাজ করতে পারছিলেন না বাগানের ফরওয়ার্ড লাইন। তবুও বল নিজেদের দখলে রেখে খেলার চেষ্টা করছিলেন সাহাল, অনিরুদ্ধ, লিস্টন, হুগোরা।
৩৭ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে আশিষ রাই বক্সে বল ভাসালে ক্লিয়ার করতে গিয়ে লিস্টনকে ফেলে দেন সুশান্ত ত্রিপুরা। পেনাল্টি দেন রেফারি। জেসন কামিংস গোল করতে ভুল করেননি। এর আগেও একবার হুগোকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। আজ ছিলেন না মোহনবাগান ডিফেন্ডার হমিল। ছিলেন না দিমিত্রি।
advertisement
প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর। তার ফিটনেস সমস্যা আছে। বিপক্ষ স্ট্রাইকার স্টোওয়ার্ড তাকে গতিতে পরাস্ত করছিল। মোহনবাগানকে টিকে থাকতে হলে গোল করতেই হত। সেটাই করল তারা। ৫৮ মিনিটে আবাহনীর ডিফেন্ডার সোলেমানি আত্মঘাতী গোল করলেন। দুমিনিট পর লিস্টনের পাস থেকে তিন নম্বর গোল করলেন সাদিকু। এই প্রথম মোহনবাগান জার্সিতে গোল পেলেন আলবেনিয়ার স্ট্রাইকার।
তিন মিনিটের সবুজ মেরুন সাইক্লোনে ম্যাচটা হেরে গেল বাংলাদেশের দল। এরপর বাকি সময়টা মোহনবাগান নিজেদের মধ্যে বল দখল রেখে যেমন ইচ্ছে তেমন খেলল। পরে নামানো হল মনবির, কিয়ানকে। বাংলাদেশের দলকে হারিয়ে সবুজ মেরুন মোহনবাগান পৌঁছে গেল এএফসি কাপের মূল পর্বে। আজ নজর করলেন কামিংস। এই দলটার একমাত্র সমস্যা এখন ফিটনেস। সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলে এই মোহনবাগান অনেক ভাল খেলার ক্ষমতা রাখে।