৩৫ বছর বয়সী এই পেসার ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচটি এ বছরের মার্চ মাসে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছিলেন। তার পর থেকে তাঁকে কোনও ফরম্যাটের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিনি গোড়ালির চোটের কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। সেই চোট সারাতে তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল।
বর্তমান সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট যে পথে এগিয়ে চলেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে শামি আর তিনটি ফরম্যাটে খেলা প্রায় অসম্ভব। শামি জাতীয় নির্বাচকদের প্রতি একেবারেই খুশি নন এবং তিনি খোলাখুলি বলেছেন, নির্বাচকরা তাঁর সঙ্গে কোনও কথোপকথন করেননি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রগুলো এই দাবির সঙ্গে একমত নয়।
advertisement
বোর্ডের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, “অনেকবার এমন হয়েছে যে জাতীয় নির্বাচক এবং বিসিসিআই সেন্টার অব এক্সেলেন্সের সাপোর্ট স্টাফ শামির খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ফোন করেছেন। নির্বাচক কমিটি ইংল্যান্ডে তাঁকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কারণ জসপ্রিত বুমরাহ তিনটির বেশি টেস্ট খেলতে পারেননি। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন বোলারকে কে না চাইবে?”
আরও পড়ুন- নতুন করে দল গোছাবে মুম্বই, নিলামের আগে ৫ জন সম্ভাব্য বাদের খাতায়, রইল তালিকা
তাঁর ইঙ্গিত ছিল, বছরের শুরুতে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ২-২ সমতায় শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজের দিকে। নির্বাচক কমিটির এক সিনিয়র সদস্য শামিকে একাধিক বার্তা পাঠিয়ে তাঁর ফিটনেস সম্পর্কে জানতে চান এবং তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি ক্যান্টারবেরি বা নর্থ্যাম্পটনে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ভারত ‘এ’-এর হয়ে অন্তত একটি ম্যাচ খেলুন। এর উদ্দেশ্য ছিল বোঝা যে শামি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য পুরোপুরি ফিট কিনা।
শামি জবাবে বলেন, তাঁকে এখনও নিজের ওয়ার্কলোড বা কাজের চাপ বাড়াতে হবে এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য তাঁর নাম বিবেচনা করা উচিত নয়। সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “তাই এটা বলা যে শামির সঙ্গে কোনো কথাবার্তা হয়নি — সম্পূর্ণ সত্য নয়। মেডিক্যাল টিমের কাছেও তাঁর স্বাস্থ্য রিপোর্ট আছে, এবং তাদেরও দেখতে হবে যে তাঁর শরীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত কিনা।”
এই মুহূর্তে শামির মনে হতে পারে যে তিনি ৫০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু তিনি আসলেই এই ভূমিকার উপযুক্ত কিনা — সেটি নির্ধারণ করতে পারবেন কেবল জাতীয় নির্বাচকেরাই। শীর্ষ স্তরের ক্রিকেটে ফেরার জন্য শামির ফিটনেস নিয়েও কিছু প্রশ্ন আছে, কারণ টেস্ট ক্রিকেটে তাঁকে দীর্ঘ স্পেল করতে হবে, অথচ বর্তমানে তিনি রনজি ট্রফিতে বেশিরভাগ সময় ছোট ছোট স্পেলে বল করছেন। বলেন সেই কর্তা।
