মাত্র দিন কয়েকের ব্যবধান। বদলে গিয়েছে সম্পর্কের সমীকরণটাও। কোপা শুরুর আগেও যে মারাদোনা বিঁধেছেন তাঁর উত্তরসূরীকে। কোপার আগেও এলএম টেনের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মেসির অবসরের সিদ্ধান্তে সেই মারাদোনাও নাম লেখালেন প্রত্যাশীদের ভিড়ে। রোনাল্ডো, রোমেরো, ইব্রাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আওয়াজ তুললেন, ‘ফিরে এসো মেসি’। ফিরে এলেও দিয়েগোকে ছোঁয়ার সম্ভাবনা কম। ২০১৮-র বিশ্বকাপ আলবিসেলেস্তে ঘরে তুলবে, খোদ বুয়েনস আয়ার্সেই এমন বাস্তববাদীর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
advertisement
মারাদোনাতেই শেষ নয়। নীল-সাদা জার্সি ফের গায়ে তুলতে মেসিকে অনুরোধ করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাকরিও। দেশের প্রথম নাগরিক। মেসির বুট জোড়া খুলে রাখা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথার শেষ নেই। এলএম টেনের গুরুত্বটা বোধহয় এখানেই।
এলএম টেন না থাকলে সিআর সেভেনেরই বা কী অস্বিস্ত। টানটান সেই প্রতিযোগিতাটাই যে উধাও হয়ে যাবে। ব্যালন ডি’ওরের জন্যই বা কার সঙ্গে লড়বেন পর্তুগিজ। ৫-৩ স্কোরলাইনে পিছিয়ে থাকার দগদগে ঘা-টা নিয়েই যে তবে বাকি কেরিয়ারটা শেষ করতে হবে। মেসির অবসরে হৃদয় থেকে হয়তো বা সেটা বুঝেছেন সিআর সেভেন। আর্জেন্টাইনের অবসর ভেঙে ফিরে আসার আবেদকের তালিকায় নাম জুড়েছে পর্তুগিজ তারকারও। রোনাল্ডো থেকে মারাদোনা, মেসির অবসরে জড়িয়ে গিয়েছে আপামর ফুটবল দুনিয়াই। দেশের প্রেসিডেন্ট তো উপলক্ষ্য মাত্র।