তিন বছর আগে এই সৌরাষ্ট্রের কাছেই হেরে গিয়েছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সৌরাষ্ট্র। কিন্তু এবার চাকা ঘুরিয়ে দিতে মরিয়া বাংলা। সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট ইডেন গার্ডেনসে খেলা। প্রচুর দর্শক আসবেন আশা করা যাচ্ছে। সিএবি চেষ্টা করছে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে আসতে। বিনা পয়সায় গ্যালারি ভরে যাবে আশা করা যেতে পারে।
advertisement
বাংলার অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে জানিয়ে দিলেন, আমরা ফাইনাল ভেবে অতিরিক্ত চাপ নিতে চাইছি না। নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে চাইছি। সৌরাষ্ট্র ভাল দল। কিন্তু আমরা নিজেদের ঘরের মাঠে খেলব। এই উইকেটে আমাদের ফাস্ট বোলাররা সুবিধা পাবে। পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জী জানিয়েছেন প্রথম দেড় ঘন্টা এবং বিকেলে এক ঘন্টা নতুন বল সাহায্য করবে পেসারদের।
বাংলা শিবিরে অবশ্য অনিশ্চিত দীর্ঘতায় ফাস্ট বোলার ঈশান পোড়েল। তবুও ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে তাকে খেলানোর। একান্ত যদি তিনি না পারেন তখন বদলি হিসেবে প্রীতম চক্রবর্তী অথবা গীত পুরি আসতে পারেন। কিন্তু ঈশান নিজে ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকতে রাজি নন। প্রয়োজনে পেইন কিলার খেয়ে নামতে পারেন।
তবে মনোজ জানিয়েছেন সৌরাষ্ট্র দলের অভিজ্ঞ পেসার জয়দেব উনাদকাট অবশ্যই বাংলার কাছে চ্যালেঞ্জ। রয়েছেন আর এক বাহাতি পেসার চেতন সাকারিয়া। দুজনেই বাঁহাতি। সেখানে বাংলার আকাশ, মুকেশ কুমার, ঈশান বা তার বদলি হিসেবে যারা আসবেন তাদের পেস তুলনায় বেশি। উইকেটে কিছুটা ঘাস থাকায় প্রথম দিকে বল মুভ করবে। ক্যারি থাকবে।
যে বোলার যত বেশি কোমর নামিয়ে বল করতে পারবে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেশি। তবে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেও টিম কম্বিনেশনের জন্য বাদ যেতে পারেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। তবে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে মনোজ, অনুষতুপ চেষ্টা করছেন জুনিয়রদের যতটা সম্ভব হালকা মনে রাখা যায় সেটা দেখতে। কারণ চাপে থেকে সেরা ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়। ফাইনাল উপভোগ করতে চাইছে বাংলা।