সিন্ধিয়া পরিবারের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। এই পদ অতীতে তাঁর পিতা ও ঠাকুরদাও সামলেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মহানার্যমানের রাজনৈতিক সফরের সূচনা, যেমনটি তাঁর পূর্বসূরিদের ক্ষেত্রেও হয়েছিল। তাঁর বয়স ২৮। এত কম বয়সেই মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির শীর্ষ পদে মহানার্যমান সিন্ধিয়া।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালের পর এত কম বয়সে আর কোনও প্রশাসক ভারতীয় ক্রিকেটের এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাননি। দেশের ধনীতম ক্রিকেট কর্তা এখন মহানার্যমান। তিনি গোয়ালিয়রের রাজপরিবারের সন্তান। পড়াশোনার শুরু দুন স্কুলে। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং প্রশাসন নিয়ে স্নাতক হন আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়েও পড়াশোনা করেছেন।
advertisement
একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেছেন মহানার্যমান। ২০২২ সাল থেকে নিজের ব্যবসা শুরু করেন মহানার্যমান। ২০২২ সালে তিনি গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্যপদ পান। তাঁর উদ্যোগেই এ বছর থেকে শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগ।
আরও পড়ুন- গম্ভীরের চোখে ভারতের সবথেকে স্টাইলিস্ট ক্রিকেটার কে? কোহলি নাম নিলেন না ভারতীয় কোচ
সিন্ধিয়া পরিবার থাকে জয় বিলাস প্যালেসে। মহানার্যমান সেই ১৫ একর জায়গার উপর তৈরি ৪০০০ কোটি টাকার রাজপ্রাসাদেই থাকেন। ৫৬০ কেজি সোনার ব্যবহার হয়েছে এই প্রাসাদ তৈরির সময়। মাধবরাও সিন্ধিয়ার নাতি তিনি। তাঁর নেতৃত্বে এবার মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা কতদূর এগিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার।