এটি সিন্ধিয়া পরিবারের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। কারণ এই পদ অতীতে তাঁর পিতা ও ঠাকুরদাও সামলেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মহানার্যমানের রাজনৈতিক সফরের সূচনা, যেমনটি তাঁর পূর্বসূরিদের ক্ষেত্রেও হয়েছিল।
২৬ আগস্ট ২০১২ সালে ইন্দোরের হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক নাটকীয় নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিঁধিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে, MPCA সভাপতির পদ নিয়ে।
advertisement
স্টেডিয়ামের ভেতরে উভয় রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, আর বাইরে তাঁদের সমর্থকরা SMS-এর মাধ্যমে ফলাফলের আপডেট পেতে অপেক্ষা করছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিলেন। শেষে ফলাফল এলে দেখা যায়, সিন্ধিয়া ৭৭ ভোটের ব্যবধানে বিজয়বর্গীয়কে পরাজিত করেছেন।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই এশিয়া কাপ! ভারতের ম্যাচ কোন কোন দিন? রইল পুরো টুর্নামেন্টের সূচি
পরপর টানা তিনটি প্রজন্ম ধরে সিন্ধিয়াদের পরম্পরা চলছে। শনিবার মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। অথচ সেই পদের জন্য মহানার্যমান সিন্ধিয়া ছাড়া আর কেউই মনোয়ন জমা দেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হতে চলেছেন তিনি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধবরাও সিন্ধিয়ার নাতি এবং জ্যোতিরাদিত্য় সিন্ধিয়ার পুত্র মহানার্যমান সিন্ধিয়ার প্রশাসনিক কাজে হাতেখড়ি হতে চলেছে। উল্লেখ্য, মহানার্যমান লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিকস থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন।
২রা সেপ্টেম্বর রয়েছে নির্বাচন। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জিতে যাবেন মহানার্যমান সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পেতে চলেছে কনিষ্ঠতম সভাপতি।