বাংলা - ২৭৩ এবং ১৭৫
মধ্যপ্রদেশ জয়ী ১৭৪ রানে
#আলুর: বাংলার পক্ষে ফাইনালে পৌঁছানো কঠিন সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনেই। তবু কিছুটা আশা ছিল অধিনায়ক অভিমুন্য এবং লড়াকু যোদ্ধা অনুষ্টুপ মজুমদারের জন্য। কিন্তু পারলেন না তারা। ২০১৯/২০২০ সালের পর ফাইনালে ওঠা হল না বাংলার। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৯৬-৪। মাঠ ভিজে থাকায় খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়েছিল আজ পঞ্চম দিন সকালে।
advertisement
প্রায় ৭৫ মিনিট দেরি করে খেলা শুরু হল। অর্থাৎ প্রায় কুড়ি ওভার নষ্ট। যদিও নির্ধারিত সময়ের পরেও খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কিন্তু পুরোটা মেকআপ হবে বলে মনে হয় না। অর্থাৎ কিছুটা হলেও এবার রান রেটের সঙ্গেও লড়াই বাংলার কারণ অবশিষ্ট ওভারের মধ্যেই ৩৫০-র টার্গেটে পৌঁছতে হত।
শুরুতেই পেস আনলেন মধ্যপ্রদেশের ক্যাপ্টেন ও সঙ্গে সঙ্গে মিলল সাফল্য। গৌরব যাদবের বলে অফ স্টাম্পের বাইরে লুজ শট অনুষ্টুপের। উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে মাত্র আট রানে ফিরলেন তিনি। ঠিক যেটা চায়নি বাংলা, সেটাই হল। বাংলার পুরনো যোদ্ধা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। গোরব ও কার্তিকেয়কে দিয়ে বোলিং শুরু করেন মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক আদিত্য।
বেশ চাপে রাখেন তাঁরা বাংলার ব্যাটারদের। শুধু টিকে থাকলে হবে না, ধারাবাহিক ভাবে রানও করতে হবে শাহবাজ ও ঈশ্বরনকে। প্রায় বিনা অক্সিজেনে এভারেস্টে ওঠার মতো শক্ত বাংলার পথ। সারাংশ জৈন ও কুমার কার্তিকেয়র বোলিংয়ে মূলত সিঙ্গল নিয়ে চালাচ্ছিলেন শাহবাজ ও ঈশ্বরন।
মধ্যপ্রদেশের বোলাররা হয়তো বাংলার বোলারদের মতো নাম করা নয়, আইপিএলে খেলেন না, কিন্তু কাজের কাজটি করে যাচ্ছেন দারুণ ভাবে। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে এর জন্য বাহবা দিতেই হবে। ৭৮ রানের মাথায় বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন, বোলার সেই কুমার কার্তিকেয়।
অল্প সময়ের মধ্যে আউট হয়ে গেলেন সায়ন মন্ডল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক। বাংলার হার কার্যত সময়ের অপেক্ষা। মাত্র এক করে সারাংশ জৈনের বলে এলবি হয়ে আউট হলেন সায়ন মন্ডল। ব্যাটে ও বলে অত্যন্ত খারাপ গেল এই ম্যাচ সায়নের। তারপর এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না প্রদীপ্ত।
আদিত্যকে ক্যাচ দিয়ে পাঁচ রানেই আউট তিনি, সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ উইকেট হয়ে গেল কুমার কার্তিকেয়র। অন্যদিকে একা লড়ছেন শাহবাজ, তাঁর সঙ্গে ধুমধাড়াক্কা ব্যাট চালাচ্ছেন আকাশদীপ। তিনটি ছক্কা মেরে আকাশ ফিরে গেলেন ২০ রান করে। এরপর শাহবাজ একদিক ধরে রাখলেও মুকেশ কুমার বোল্ড' হয়ে গেলেন।
১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেল বাংলা। ২১ বছর পর রঞ্জি ফাইনালে পৌঁছাল মধ্যপ্রদেশ। মুম্বই এবং বিধর্বের কোচ হিসেবে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিত। এবার তুললেন মধ্যপ্রদেশকে। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মালহোত্রা বলছিলেন ভালো ক্রিকেট খেলেও শেষ পদক্ষেপ নিতে পারে না বাংলা। সেই ১৯৮৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়া অধরা রয়ে গেল বাংলার।