রাতে রোনাল্ডো। ভোরে মেসি। ঠিক এভাবেই বিষয়টা বর্ণনা করা যায় ? কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ফুটবল দুনিয়া সাক্ষী থাকল দুই সেরা ফুটবলারের ফুটবল ম্যাজিকের। কোপায় এলএম টেন। ইউরোয় সিআর সেভেন। চোট কাটিয়ে ৪৫ মিনিট মাঠে ছিলেন আর্জেন্টাইন। পর্তুগিজ কাটালেন পুরো ৯০ মিনিটই।
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট থেকে ফ্যান জোন। দুই মেগাস্টারের তুলনায় শুরু হয়ে গিয়েছে বাকযুদ্ধ। রিয়াল ম্যাস্ট্রোর সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন রোনাল্ডো সমর্থকরা। তাল ঠুকছেন মেসি ফ্যানেরাও।
advertisement
তবে পারফরম্যান্সের নিরিখে এখনও এগিয়ে সেই এলএম টেনই। চোট সারিয়ে ছন্দে ফিরছেন লিও। আর তাতেই ঘুম উড়েছে প্রতিপক্ষের। পানামা ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পর বলিভিয়ার বিরুদ্ধেও দুরন্ত আর্জেন্টাইন। স্টাইল বদলে রাইট উইং ধরে পেনিট্রেটিভ জোনে ঢুকছেন। ফাইনাল পাসে ফালাফালা করে দিচ্ছেন বিপক্ষের ডিফেন্স। খুলে ফেলছেন গোলের লকগেট। সেটপিসে মুন্সিয়ানা তো রয়েইছে। কোপা যতো এগোবে, ততোই আরও ঝলমল করবেন আর্জেন্টাইন-এমনটাই ভাবনা ফুটবল বিশ্বের।
অন্যদিকে শুরুর ম্যাচে রীতিমতো ফ্লপ রোনাল্ডো শো। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯০ মিনিট মাঠে থেকেও গোল নেই রো-র। মাত্র একবার ওয়ান ইজ টু ওয়ান পরিস্থিতিতে টপকাতে পেরেছেন বিপক্ষকে। ১০ টা শট নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছেছেন মাত্র একবার। বল ছুঁয়েছেন ৫৬ বার। পাস বাড়িয়েছেন ৩১ টা। স্ট্যামিনা, পাওয়ার বেসড যে ফুটবলটা রোনাল্ডো খেলেন, এমনিতেই ইউরোপিয়ান ঘরানায় তার সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তার উপর তাঁর বয়স ৩১ পেরিয়েছে। তাই সাকসেস রেটও ক্রমেই কমছে সিআর সেভেনের।