প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়া। বল পজিশন ধরে রেখে সুযোগ বুঝে আক্রমণে যাওয়া। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলা। কাতার বিশ্বকাপে যে লিওনেল স্কালোনির দলকে দেখেছিল গোটা বিশ্ব, মাস তিনেক পরেও সেই একই ছন্দ দেখা গেল মেসি-আলভারেজ-দি মারিয়া-ডি পলদের। আর আরেকটি জিনিস না বললেও নয়, তা হল লিওনেল মেসি। খেলা দেখে বোঝার উপায় নেই লোকটার বয়স। এখনও গোল করছেন করাচ্ছেন। দলটার প্রাণভোমরা এখনও সেই ১০ নম্বর জার্সি ধারী মেসিই।
advertisement
পানামার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যােচ শুরু থেকেই খেলার রাশ নিজেদের হাতে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। মাঝ মাঠের দখল নিতেও খুব একটা সময় লাগেনি। ৪-৩-৩ ছকেই দল নামান স্কালোনি। মেসি-আলভারেজ-দি মারিয়াকে সামনে রেখেছিলেন বিশ্বজয়ী কোচ। ম্যাচের প্রথমার্ধেই একাধিক গোল করার মত সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সহায় ছিল না ফুটবল দেবতা। মেসির একটি ফ্রি কিকও বারে লেগে ফিরে আসে। প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুনঃ Viral News: গোলকিপারের স্ত্রী-র সঙ্গে মিলন স্ট্রাইকারের! হাতেনাতে পড়েছিলেন ধরা, তারপর কী হয়েছিল
বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে দর্শকদের জয় উপহার দেওয়ার জন্য দ্বিতীয়ার্ঝে মরিয়া চেষ্টা করে স্কালোনির ছেলেরা। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন থিয়াগো আলমাদা, পাওলো দিবালা, লাউতারো মার্টিেজরা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে গোলের মুখ খোলে আর্জেন্টিনা। মেসির ফ্রি কিক দ্বিতীয় বারের জন্য বারে লেগে ফেরে। সেই পাল্টা বলে গোল করে দলকে লিড এনে দেন থিয়াগো আলমাদা। তারপর ম্যাচের ৮৯ মিনিটে সেই ম্যাজিকাল বাঁ পায়ের সুইংয়ে বল জালে জড়িয়ে দলের ব্যবধান বাড়ান লিও মেসি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলেই ম্যাচ জেতে আর্জেন্টিনা।