ক্রোয়েশিয়া - ০
#দোহা: কাতার বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনার সাফল্যের জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব ৮৬-র বিশ্বজয়ের প্রয়াত কিংবদন্তকীকেই দিয়েছিলেন মেসি। মারাদোনার আশীর্বাদেই সব হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন লিও। মঙ্গলবার সেই দিয়েগো মারাদোনার অদৃশ্য আশীর্বাদ আর্জেন্টিনার সঙ্গে ছিল কিনা জানা নেই। কিন্তু চার বছর আগে রাশিয়ার মাঠে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে আর্জেন্টিনা যে মরিয়া ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছিল।
advertisement
ম্যাচের শুরু থেকে দশ মিনিট দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। তারপরে ১৫ মিনিট অবশ্য লুকা মড্রিচ, কোভাসিচরা বল ধরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সব কিছু বদলে গেল ৩৪ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক আলভারেজকে ফাউল করায়। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। টপ কর্নার নেটে ফিনিশ করলেন।
এর ৫ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল আর্জেন্টিনার। কাউন্টার আক্রমণ থেকে মেসির পা হয়ে বলটা এল জুলিয়ান আলভারেজের কাছে। একটা ২৫ গজের সোলো দৌড়। ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্সডে ভেঙে বল জালে। এবারের বিশ্বকাপে তিনটি গোল হয়ে গেল তরুণ ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকারের। ম্যাক আলুষ্টারের হেড ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক না বাঁচালে আর্জেন্টিনার ব্যবধান বাড়তে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধের দুটি পরিবর্তন করে ক্রোয়েশিয়া। পারেদেসের পরিবর্তে লিসান্ড্রোকে নিয়ে আসে আর্জেন্টিনা। ৭০ মিনিটের মাথায় মেসি ম্যাজিক। ডান দিক থেকে একটা বল ধরে, সেই ভিনটেজ দৌড়। ক্রোয়েশিয়ার সেরা ডিফেন্ডারকে শরীরের মোচড়ে ছিটকে দিলেন। ডান পায়ের ক্রস, ফিনিশ করলেন আলভারেজ।
এখানেই গল্প শেষ হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ার। চার বছর আগের রাশিয়ার মাটিতে তিন গোলে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের বদলা নেওয়া হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। গোল করে এবং করিয়ে আবার নিজের গুরুত্ব বোঝালেন মেসি। আলভারেজ বুঝিয়ে দিলেন তিনি ভবিষ্যতের মহতারকা। ব্রাজিলের ঘাতক ক্রোয়েশিয়াকে মাটিতে আছড়ে ফেলল আর্জেন্টিনা। পৌঁছে গেল ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ফাইনালে।